নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতার দুর্গাপূজার মত বারাসাতের কালী পূজাকে হেরিটেজ পূজার সম্মান দিতে ইউনেস্কোর কাছে দরবার করতে চলেছে ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান অখিলভারত হিন্দুমহাসভা । রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর উদ্যোগে হিন্দুমহাসভা ও ডিজিট্যাল জার্নালিস্টদের বৃহত্তম সংগঠন ওয়েব জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া এই উদ্দ্যেশ্যে একটি যৌথ পূজা পরিক্রমা আয়োজন করার পাশাপাশি প্রায় সাতদিন ধরে নীরবে জনমত সংগ্রহ অভিযান পালন করলো বারাসাতের বুকে । বারাসাতে প্রতি বছর প্রায় সাতদিন ধরে কালীপূজা পালিত হয় এবং এই সময় দেশ বিদেশ থেকে লক্ষাধিক দেশী ও বিদেশী পর্যটকের আগমন হয় এই অঞ্চলে । পূজা কমিটিগুলো কোটি কোটি টাকা খরচ করে পূজার আয়োজনে । এহেন বারাসাতের কালী পূজাকে হেরিটেজ পূজার সম্মান দিতে সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে অনামিকা মন্ডল, আশুতোষ মজুমদার, সোমা দে মন্ডল, সমীরণ চৌধুরী এবং শিবসৌম বিশ্বাস নীরবে বারাসাতের প্রায় সব পূজা মণ্ডপ পরিভ্রমণ করার পর অবশেষে একাধিক পূজা কমিটিকে পুরস্কৃত করলেন । সাংস্কৃতিক সমন্বয় মঞ্চের বিচারকদের বিচারে সেরা প্রতিমার পুরস্কার পেল হেলা বটতলার রেজিমেন্ট ক্লাব । প্রায় একষট্টি কেজি সোনার গহনা দিয়ে অপূর্ব সুন্দর দেবী প্রতিমাকে সুসজ্জিত করা হয়েছে এখানে ।
সেরা আলোকসজ্জার শিরোপা পেল পায়োনিয়ার এথেলেটিক ক্লাব । কর্নাটকের মাইসর কালীর আদলে এখানে দেবীমূর্তি এবং মণ্ডপসজ্জা করা হয়েছে । রাত্রিবেলা ঝিলের জলে মণ্ডপের আলোকিত প্রতিবিম্ব দর্শকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করেছে । সেরা মণ্ডপসজ্জার পুরস্কার জিতে নিল নবপল্লীর আমরা সবাই ক্লাব । সারা মাঠ জুড়ে বিশালাকৃতির অনিন্দ্যসুন্দর মণ্ডপ এবং দেবী প্রতিমা বিশেষভাবে দর্শকদের নজর কেড়েছে । আগামী দিনে রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে রাজ্যপাল সি.ভি.আনন্দ বোস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করতে এবং তারপর ইউনেস্কোর কাছে বারাসাতের কালীপূজাকে হেরিটেজ পূজার সম্মান দিতে আবেদন করতে চলেছেন বলে জানালেন হিন্দু মহাসভার প্রতিনিধিরা । অখিলভারত হিন্দুমহাসভা এবং ওয়েব জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার যৌথ উদ্যোগে এই অভিনব পূজা পরিক্রমা এবং সর্বোপরি বারাসাতের কালী পূজাকে হেরিটেজ পূজার সম্মান দেওয়ার উদ্যোগকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সমগ্র বারাসাত অঞ্চলের অধিবাসীবৃন্দ ।