Skip to content

তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষের "আত্মঘাতী", মুখ খুলে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা

নিজস্ব সংবাদাতা : ৯ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে উদ্ধার করা হয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর দেহ। নাম অতুল সুভাষ। বয়স ৩৪ বছর। জানা যায়, স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়ার সঙ্গে মামলা চলছিল বিবাহবিচ্ছেদের। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃত্যুর আগে লিখে রেখে গিয়েছেন ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট। অভিযোগ তুলে স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের ‘মিথ্যা’ মামলায় হাজিরা দিতে বেঙ্গালুরু থেকে জৌনপুর গিয়েছেন অন্তত ৪০ বার। করে গিয়েছেন দেড় ঘণ্টার একটি ভিডিয়োও রেকর্ডও। অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ারও। পুরো দেশ যখন অবাক এই ব্যাপারটি নিয়ে। নতুন করে মুখ খুলে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। বলেন, “পুরো দেশের কাছে এই ঘটনা বড় ধাক্কা। ওঁর ভিডিয়ো সত্যিই হৃদয়বিদারক। ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে বিয়ে হলে সব কিছু ঠিক থাকে। এ সবের জন্য দায়ী বামপন্থা বা ভুয়ো নারীবাদের চরম নিন্দা করি। কোটি কোটি টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এ তো ওই যুবকের ক্ষমতার বাইরে ছিল। চাপে পড়ে ওঁকে এই পদক্ষেপ করতে হল।” আরও বলেন, “এই একজন মহিলাকে অবশ্য উদাহরণ হিসাবে গণ্য করাই উচিত নয়। যে সব মহিলার সঙ্গে সত্যিই প্রতারণা করা হয়, তাঁদের ঘটনাগুলিকে আমরা একেবারেই অস্বীকার করতে পারি না। কারণ, ৯৯ শতাংশ বিবাহবিচ্ছেদে পুরুষদেরই দোষ থাকে।” এতে চটেছে বিভিন্ন মহলের বুদ্ধিজীবীরা। বুদ্ধিজীবীদের তরফে বলা হয় “এমন মানুষের থেকে প্রতিক্রিয়া নেওয়াই উচিত নয়। ইনি নিজেই এক জন শোষণকারী। ওঁর নিজেরই বলা ৯৯.৯৯ শতাংশ ঘটনা মিথ্যা।” অন্যদিকে অতুলের মা বলেন, ‘‘ওরা সবাই মিলে আমার ছেলেটার উপর অত্যাচার করত। এতই অত্যাচার করত যে, ছেলে আমাদের কিছু বলত না। আমাদের কাছে চেপে যেত। ও চাইত না, আমরা কষ্ট পাই।’’ ছেলের এই মৃত্যুকে কি ‘খুন’ হিসাবে দেখছেন? অতুলের মায়ের জবাব, ‘‘অত্যাচার করে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেওয়া খুনেরই সমান।’’ এর পরেই মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। পড়ে যাওয়ার আগে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমার বিচার চাই।’’ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, অতুলের স্ত্রী নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে।

বেঙ্গালুরুতে চাকুরিজীবী অতুল সুভাষের মৃত্যুর ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। জানিয়েছে মৃত যুবকের পরিবার। যুবকের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়ার বিরুদ্ধে উঠেছে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ।

অতুল সুভাষের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ছাড়াও শ্যালক ও শাশুড়ির বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃত যুবক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুতে একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করার সুবাদে সেখানেই থাকতেন তিনি। অতুলের স্ত্রীও চাকরিজীবী ছিলেন। তবে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চালকালীন মাসিক ৪০ হাজার টাকা খোরপোশ দিতে হত অতুলকে। এর পরেও অতুলের স্ত্রী ও তাঁর পরিবার আরও ২-৪ লাখ টাকা দাবি করছিলেন বলে অভিযোগ। অতুলের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের আদালতে মামলাও করেছিলেন স্ত্রী।

Latest