Skip to content

মুখ্যমন্ত্রী আরামবাগ-ঘাটাল সহ বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে অবশেষে সন্ধ্যা নাগাদ মেদিনীপুর শহরে সার্কিট হাউজে প্রবেশ করেন!

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেশপুর হয়ে মেদিনীপুর যাওয়ার পথে কেশপুর বাজারে থামেন। তিনি সাংসদ দেব এবং মন্ত্রী শিউলি সাহার সাথে গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে কেশপুরের জনগণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বক্তৃতা দেন। সেই সময় রোগী নিয়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়ে সেখানে। পুলিশ প্রশাসনকে তৎপরতার সঙ্গে সেই অ্যাম্বুল্যান্সকে পথ করে দিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন আমি এই কেশপুরের মাটিতে বহুবার এসেছি। এখানে যা অত্যাচার হত সেই জামসেদ ভবনের নামে। সেইগুলোই এখন বিজেপি হয়েছে।

দিনের পর দিন মৃতদেহ নিয়ে বহুবার এসেছি। সেখানেই সিপিআইএম ও বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, সেদিন বলেছিলাম সিপিএমের শেষ পুর এই কেশপুর থেকে হবে। আজ বলে যাচ্ছি বিজেপির শেষ পুর এই কেশপুর থেকে হবে। যে বিজেপি সরকার ভোটার তালিকার নামে এনআরসি করার ষড়যন্ত্র করছে, এতে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই এবং আপনারা যারা এখনও বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে আছেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে বাড়ি ফিরছেন, আমাদের ওয়েবসাইটে একটি পোর্টাল রয়েছে যেখানে তাদের জানানো হয়েছে যে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আজ ঘোষণা করেছেন যে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে এবং তিনি বাম কেশপুরে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সিপিআই(এম)-কে নিশানা করেছেন।

এরপর, মুখ্যমন্ত্রী অবশেষে সন্ধ্যায় সড়কপথে মেদিনীপুর শহরে প্রবেশ করেন। রাস্তার উভয় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষ, কর্মী এবং সমর্থকরা জয় বাংলা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ স্লোগান দেন। মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত শ্রমিক সমর্থক এবং জনগণকে হাত জোড় করে শুভেচ্ছা জানান। মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে প্রবেশ করেন। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর ১২টায় ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন মুখ্যমন্ত্রী ।

Latest