Skip to content

একুশ শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত খুনি শেখ হাসিনা’, মন্তব্য ইউনূস সরকারের প্রেস সচিবের!

1 min read

ঢাকা জাকির হোসেন: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনা গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্দেশ দিয়েছিলেন— একবিংশ শতাব্দীতে শেখ হাসিনার চেয়ে বড় খুনি বা হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন কেউ করেনি৷"তিনি আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “কেউ যেন তাঁর (শেখ হাসিনা) অতীত ভুলে না যায়।” আলম রাষ্ট্রসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন—বিশেষ করে আল জাজিরার এক প্রামাণ্যচিত্রের উল্লেখ করেন, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।আলম শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বিদেশি গণমাধ্যম সাক্ষাৎকারকে “রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা” বলে উড়িয়ে দেন। তাঁর দাবি, “গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি (শেখ হাসিনা) ভারতে পালিয়ে যান এবং এখন তাঁর দল কার্যত বিলুপ্ত। তাঁর সহযোগীরা দেশের অর্থ চুরি করে লন্ডনের এক নামী আইন সংস্থা ভাড়া করেছে।”
অন্যদিকে পৃথক এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, “হাসিনা বিদেশে বসে জাতীয় নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতি এখন একত্রিত।”৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনা রয়টার্স, এএফপি ও দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যার অভিযোগকে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছি—এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।” তবে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ফাঁস হওয়া এক টেলিফোন কথোপকথনে তাঁকে “প্রয়োজনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার” করতে নির্দেশ দিতে শোনা যায় বলে জানা গেছে।অভিযোগের বিচারে প্রসিকিউশন শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে, এবং ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা করতে পারে।নয়াদিল্লিতে নির্বাসিত অবস্থায় হাসিনা রয়টার্স-কে বলেন, “ইউনুস নেতৃত্বাধীন সরকার ভোটাধিকার কেড়ে নিচ্ছে। প্রধান দলগুলোকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করলে তা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি দিল্লিতে শান্তিতে আছি, অন্য কোথাও আশ্রয় নেওয়ার ইচ্ছে নেই।”

Latest