পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্ষা মানেই বানভাসি ঘাটালে মানুষ। চার থেকে চল্লিশ হোক বা আট থেকে আশি, ঘাটালের সব প্রজন্মই মোটামুটি বন্যা পরিস্থিতির সাক্ষী। সুখবর যে একটি নতুন ব্রিজ তৈরির তোড়জোড় শুরু করলো সেচ দপ্তর।বৃহস্পতিবার ঘাটাল আসেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের পর অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে পৌঁছে যান তিনি।রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বৃহস্পতিবার পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের দাবি মেনে মনসুকায় ঝুমি নদীর সাথে তামিল্ল্যা খালের সংযোগ স্থানে সুইলিস গেট ব্রিজ তৈরি হবে।ঘাটাল জনপদটির আকার ঠিক কড়াইয়ের মতো। তাকে দু’ভাগ করে বয়ে চলেছে শিলাবতী নদী। ঘাটালের উত্তর-দক্ষিণ পূব-পশ্চিম চতুর্দিকেই রয়েছে একাধিক নদ-নদী— কংসাবতী, রূপনারায়ণ, ঝুমি। আর আছে ছোটখাটো অসংখ্য খাল। প্রতি বছর বর্ষায় ভারী বৃষ্টি হলেই ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।পরিদর্শনে মন্ত্রীর সাথে ছিলেন রাজ্যের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি প্রভাত কুমার মিশ্র(আই.এ.এস) মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, সেচ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক সহ জেলা সভাধিপতি, আশীষ হুদাইত, পঞ্চায়েত সমিতির সহ- সভাপতি বিকাশ কর,স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মিলন পাত্র, তৃণমূল নেতা ও ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ সভাপতি দিলীপ মাজি, কর্মাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সমাজসেবী অসিত গোস্বামী, কিংকর পন্ডিত সহ অনেকেই। নতুন ব্রিজ তৈরির প্রস্তাবে খুশি ঘাটালের মানুষজন।ঘাটাল ব্লকের মনশুকা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তামিল্লা খালের উপর প্রায় ন'কোটি টাকা ব্যয় করে এই সেতু তৈরি হতে চলেছে। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ- সভাপতি বিকাশ কর জানিয়েছেন, "তামিয়া খালের উপর সেতু তৈরি হলে বানভাসি ঘাটালে মানুষ তো উপকৃত হবেন,আর হুগলির আরামবাগ এলাকার মানুষেরও সুবিধা হবে। এই সেতু পেরিয়ে সহজেই যেমন আরামবাগ যাওয়া যাবে পাশাপাশি আরামবাগ এলাকার মানুষও সহজেই ঘাটালে আসতে পারবেন।