নিজস্ব সংবাদাতা:দানার মোকাবিলায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে দাঁতন বিডিও অফিসে বৈঠক করেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। পরে সাংবাদিক বৈঠকও করেন তাঁরা। খড়গপুরের মহকুমাশাসক এবং দাঁতন ১, দাঁতন ২, মোহনপুর, কেশিয়াড়ি এবং নারায়ণগড়ের বিডিও-দের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। মঙ্গলবার থেকে তীরবর্তী এলাকা, দুর্বল ও মাটির বাড়ি বাড়িগুলি থেকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষজনকে। তাঁদের রাখা হয়েছে প্রায় ১০০টিরও বেশি ত্রাণশিবিরে। ত্রাণ শিবিরগুলিতে পর্যাপ্ত পানীয় জল, খাবার, ওষুধ, অ্যান্টিভেনাম প্রভৃতি মজুত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন জেলাশাসক।বুধবার অর্থাৎ ২৩ অক্টোবর থেকে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে মৌসম ভবন। বাংলার উপকূলবর্তী ৯টি জেলাতে বুধবার হলুদ সতর্কতা এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, দুই মেদিনীপুর, দুই চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম- এই ৯টি জেলার সমস্ত স্কুল বুধবার থেকে শনিবার, টানা চারদিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুল পড়ুয়াদের সুরক্ষিত রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ও পরামর্শ মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে শিক্ষা দপ্তর। বুধবার থেকে শনিবার (২৩-২৬ অক্টোবর) কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও কোন ক্লাস হবে না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুল বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ এই ৯টি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ , বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য যে, ওড়িশা সরকার আগেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে বেশ কয়েকটি জেলায়।
ঝড়ের বিপদ এড়াতে চালু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন। এক নজরে হেল্পলাইন
কলকাতা পুরসভা- ২২৮-৬১২১২, ২২৮-৬১৩১৩, ২২৮-৬১৪১৪
হাওড়া পুরসভা-৬২৯২২৩২৮৭০
কলকাতা পুলিশ-৯৪৩২৬১০৪৫৫
শিয়ালদহ স্টেশন-২৩৫১৬৯৬৭
হাওড়া স্টেশন-২৬৪১৩৬৬০
ডব্লুবিএসইডিসিএল-৮৯০০৭৯৩৫০৩, ৮৯০০৭৯৩৫০৪, টোল ফ্রি: ১৯২২১
হোয়াটসঅ্যাপ-৮৪৩৩৭১৯১২১
সিইএসসি-৩৫০১১৯১২, ৪৪০৩১৯১২, হোয়াটসঅ্যাপ-৭৪৩৯০০১৯১২, বিশেষ হেল্পলাইন-৯৮৩১০৭৯৬৬৬
নবান্ন কন্ট্রোল রুম-২২১৪৩৫২৬, টোল ফ্রি: ১০৭০