Skip to content

ডালমিয়া সিমেন্ট ভারত লিমিটেডের উদ্যোগে অত্যাধুনিক ভ্রাম্যমান বাসে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ!

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে ইলেকট্রিক, ১৫টি কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টিভি বা ডিজিটাল স্ক্রিন, সবই রয়েছে এই বাসে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ভ্রাম্যমাণ বাসের মধ্যে রয়েছে এক ‘ছোট্ট দুনিয়া’।একজন কম্পিউটার শিক্ষকের মাধ্যমে গত ২ বছর ধরে এই বাসের মধ্যে এলাকার শত শত পড়ুয়াকে বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার কোর্স করানো হচ্ছে ডালমিয়া সিমেন্ট ভারত লিমিটেডের (DCBL) উদ্যোগে, তাও আবার বিনামূল্যে।বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনির গোদাপিয়াশাল গ্রামে ডালমিয়া সিমেন্টের নিজস্ব প্ল্যান্টের পেক্ষাগৃহে একটি বিজয়া সম্মিলনী ও সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকে ডালমিয়া ফাউন্ডেশন- এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা ও প্রোজেক্ট প্রদর্শন করা হয়। কিভাবে একজন বেকার গৃহবধূ মাদুর তৈরিতে নিজেকে নিয়োজিত করে মাদুর শিল্পে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে তাও অতিথিদের ঘুরে দেখানো হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। সেই সঙ্গে দুঃস্থ পরিবারের ছেলে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার এই অত্যাধুনিক বাসটিও দেখানো হয় অতিথিদের। বাসটি চলছে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে। বাসটি পুরোটাই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। রয়েছে ১৫টি কম্পিউটার। অর্থাৎ, একবারে ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী একসাথে বসে কম্পিউটার শিখতে পারবে এই বাসের মধ্যে। এই সুবিধা পেয়ে খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জঙ্গল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের প্রত্যন্ত গোদাপিয়াশাল, কাশিজোড়া, বেঁউচা সহ প্রায় ৩৯টি গ্রামের পড়ুয়াদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ডালমিয়া কর্তৃপক্ষের এই অনন্য উদ্যোগ ছাড়াও; গত ৭ বছর ধরেই শালবনী ব্লকের ৯ নং কাশিজোড়া এবং ১০ নং কর্ণগড় অঞ্চলের ৩৯টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা-র সার্বিক জীবন ও জীবিকার মানোন্নয়নে তাঁরা নিয়োজিত আছেন বলে জানিয়েছেন ডালমিয়া-র শালবনী ক্যাম্পাসের ইউনিট হেড পঙ্কজ গুপ্তা।উল্লেক্ষ্য যে, জীবন ও জীবিকার মানোন্নয়ন ছাড়াও মহিলাদের স্ব-নির্ভর করার জন্যও দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ডালমিয়া সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে শালবনীর গোদাপিয়াশালে ডালমিয়া সিমেন্ট কারখানার উদ্বোধন হয়। সিমেন্ট কারখানায় এলাকার প্রায় ৬০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থান ছাড়াও, কারখানা-পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষের জীবন-জীবিকা ও শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশপাশি মহিলাদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডালমিয়া কর্তৃপক্ষ। এলাকার বিভিন্ন গ্রামে শোলার পাম্প বসিয়ে একদিকে যেমন জলের সমস্যা মিটিয়েছেন তাঁরা; তেমনই মাদুর তৈরি, মোমবাতি তৈরি, মাশরুম চাষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে মহিলাদের স্বনির্ভর করার কাজও করছেন ডালমিয়া কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির একটি নিজস্ব ভ্রাম্যমান বাস (কার অন হুইলস)-ও রয়েছে। তাতে রয়েছে একাধিক (১৫টি) কম্পিউটার। সেই বাসটি বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে কচিকাঁচাদের বেসিক কম্পিউটার শিক্ষা প্রদান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কোর্সও করাচ্ছে! কোম্পানির ইডিনট হেড পঙ্কজ গুপ্তা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা করছি আমাদের এই উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকার মানুষের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা বাড়বে।” বুধবারের সাংবাদিক বৈঠক তথা বিজয়া সম্মিলনী-তে ইউনিট হেড ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্যাম সুন্দর সোয়ার, কপিলমুনি পান্ডে, সুবীর মোহান্তি প্রমুখ আধিকারিকরা।

May be an image of 5 people and text

Latest