নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধসে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ধস এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জখম ১৮০-র বেশি। শতাধিক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সেনাবাহিনীকে আগেই নামানো হয়েছিল। মঙ্গলবার বিকালের দিকে নামানো হয়েছে নৌসেনা ও বায়ুসেনাকেও।তবে বিপর্যস্ত ওয়েনাড়ের উপর থেকে এখনই বিপদ কাটছে না। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। সেই সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ওয়েনাড়ের উপর দিয়ে। কোথাও কোথাও সেই হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
দুর্যোগ এবং ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কারণে কেরলের বিভিন্ন জেলায় বুধবার বন্ধ থাকবে সব স্কুল-কলেজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বৃহস্পতিবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে বলে সরকারি সূত্রে খবর। রাজ্যে দু’দিনের শোক পালনের ডাক দিয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার। অন্য দিকে, ধসের কারণে রাস্তাঘাটের অবস্থা শোচনীয়। বেশির ভাগ জায়গায় রাস্তা ধসে গিয়েছে। ফলে পুলিশ-প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে। ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে উদ্ধারের কাজে। ভারী বৃষ্টি এবং প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে কেরলে। মনে করা হচ্ছে, এই বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার রাত ২টো থেকে ভোর ৪টের মধ্যে ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি এলাকায় পর পর ধস নেমেছে। আর তার জেরে প্রায় কাদায় মিশে গিয়েছে গোটা এলাকা। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।