ঢাকা জাকির হোসেন: ঢাকায় ধানমন্ডির ৩২ নন্বর বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়েছিল বুধবার রাতে। বৃহস্পতিবার সকালেও তা চলছে। হচ্ছে। পুলিশ-সেনা নির্বিকার। বুধবার রাতে বাড়িটি ভাঙা শুরু হলে সেনা বাহিনীর একটি দল সেখানে গেলেও ‘বিপ্লবী ছাত্র-জনতা’ তাদের ধাওয়া করে। প্রাঁণ বাঁচাতে সেনাও সরে যায়। ফলে বিনা বাধায় বা়ড়িটি ভাঙছে উম্মত্ত জনতা।
বুধবার সন্ধ্যা সাতটার কিছু পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’ প্রথমেই মুজিবের স্মৃতিবিজড়িত ওই বাড়ি তথা জাদুঘরে গিয়ে বাইরের ফটক ভেঙে ফেলে বিক্ষোভকারীরা। এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকে শুরু হয় ভাঙচুর। ৯টার একটু আগে থেকেই দেখা যায় তিনতলা জ্বলছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বাংলাদেশজুড়ে যেভাবে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে, তাতে করে স্পষ্ট যে গোটা বিষয়টি পরিকল্পনা মাফিকই চলছে। একই কারণে মুজিবের বাড়িতে হামলার পাশাপাশি আগুন দেওয়া হয়েছে ধানমন্ডিতে হাসিনার বাসভন সুধা সদনেও। মুক্তিযুদ্ধ, তারও আগে অন্তত তেরো-চোদ্দ বছর ওই বাড়িটিই ছিল বাংলাদেশের আঁতুরঘর। পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ববাংলার প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে সংগ্রাম, অসহযোগ এবং শেষে স্বাধীনতা তথা মুক্তির আন্দোলনের রূররেখা তৈরি হয়েছিল ওই বা়ড়িটিতে। তাই পাকিস্তানের সেনা ও প্রশাসনের বরাবর নিশানায় ছিল ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ গভীর রাতে এই বাড়ি থেকে শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পাক সেনারা। সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বাড়িতে সহযোদ্ধাদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছিলেন শেখ মুজিব। ৭ মার্চের ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন এই বাড়ি থেকেই।
