নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের মধ্যে কলকাতা ও অন্যান্য জেলাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।আশঙ্কা আগামী দিনে এই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যাটা আরও বাড়তে চলেছে। হয়তো গত বছরের ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যাটাও টপকে যাবে। সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে সাবধান না হলেই বিপদ। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন?এডিস ইজিপ্টাই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গুর ভাইরাস মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তার বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরে। জ্বর-সহ সারা শরীরে অসহ্য ব্যথা, বমি বমি ভাব, সারা শরীরে র্যাশ। সময়ের সঙ্গে সচেতন না হলে ডেঙ্গু প্রাণঘাতী হতে পারে।ডেঙ্গু ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সবচেয়ে সহজ উপায় হল নিজেকে মশার কামড় থেকে রক্ষা করা। সুতরাং, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার উপায় হল জীবাণুবাহী মশা নিয়ন্ত্রণ করা। ডেঙ্গুর মশা সাধারণত স্থির ও পরিষ্কার জলে ডিম পারে। সুতরাং, বাড়ির চারপাশে কোনও জায়গায় জল না জমে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নর্দমা, ভাঙাপাত্র বা অন্য কোনও জায়গায় জল জমতে দেবেন না। বাড়ির আশেপাশের জায়গায় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও বিভিন্ন রকম মশা নিরোধক কীটনাশক পাওয়া যায়। সেই বায়োলজিক্যাল কন্ট্রোল এজেন্ট স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।এছাড়াও ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন। বৃষ্টি না হলেও বর্ষার মরসুম এখনও শেষ হয়ে যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে তাতে এখন সচেতন হওয়াই বেশি জরুরি। কিন্তু যদি পরিবারের কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তাহলে কী করবেন? অন্যান্য জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গুর জ্বরের পার্থক্য প্রাথমিক অবস্থায় বোঝা যায় না। এই ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি। ডেঙ্গুর জ্বর ৩ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গুর অন্যান্য উপসর্গগুলো জোড়ালো হতে শুরু করে। রক্ত পরীক্ষায় যদি ডেঙ্গু ধরা পড়ে তাহলে নিয়মিত ভাবে প্লেটলেট কাউন্ট করাতে হবে। প্লেটলেট কাউন্ট কমে গেলে রোগীর মৃত্যু অবধি ঘটতে পারে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। ওষুধের পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। এই পুষ্টি শরীরকে প্লেটলেটের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে। এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে। শরীরে জলের পরিমাণ কম হলে অন্যান্য রোগ জীবাণুরাও বাসা বাঁধার সুযোগ পেয়ে যায়। তাছাড়া জল যত বেশি পান করবেন প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যাবে। পাশাপাশি জ্বরও কমে যাবে।
রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গু সচেতনতা - কি বলছেন ডাঃ শুদ্ধসত্ব চট্টোপাধ্যায়?