Skip to content

সবকিছু জানার পরেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ডিআই বিভ্রান্ত করছেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর শহরের বিশিষ্ট সমাজসেবী দীপককুমার দাশগুপ্ত ২০২৪ সালের ৪ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসকের পাবলিক গ্রিভ্যান্স সেলে অভিযোগ দায়ের করে জানতে চান, এক, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই কি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, দুই, এখনও অব্দি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই কি কোনো তদন্ত করেছেন, তিন, ডিআই কি কোনো তদন্ত রিপোর্ট জেলা শাসকের কাছে জমা দিয়েছেন।

এই প্রশ্নের পিছনের রহস্য কি? ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের তৎকালীন জেলা শাসকের গ্রিভ্যান্স সেলের কাছে দীপকবাবু চিঠি দিয়ে নিনপুরা আর্য বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে ডিআই কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা তা জানতে চেয়েছিলেন। দীপকবাবুর চিঠির ভিত্তিতে পিজি সেলের পক্ষ থেকে ডিআইকে চিঠি পাঠিয়ে রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু পিজি সেল প্রকারান্তরে জেলা শাসকের এই নির্দেশে কর্ণপাত করেননি ডিআই। তিনি নিজের মত কাজ চালিয়ে যান। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও ডিআইয়ের দিবানিদ্রা কেউ ভাঙাতে পারেননি।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে যিনি জেলা শাসকের নির্দেশ অমান্য করেন তার খুঁটির জোর আছে। এই শক্তির উৎস কি? আচমকা গত ৬ মে দীপককুমার দাসগুপ্ত একটি চিঠি পান। এই চিঠির প্রেরক পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই। তিনি এই চিঠিতে তিনটি জবাব দিয়েছেন। এক, নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠে একটি তদন্ত করা হয়েছে। দুই, ২০১৮ সালে দীপক কুমার দাশগুপ্তের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা শাসকের নির্দেশে এই তদন্ত করা হয়। তিন, ডিআই এই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট স্কুল শিক্ষা কমিশনারকে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছেন। দীপকবাবু নাকি জেলা শাসকের কাছে ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারী অভিযোগ জানিযেছেন। দীপকবাবু বলেন, ঐ তারিখে আমি কোনো আবেদন জেলা শাসককে * জানাইনি।

তাহলে ঐ তারিখ ডিআইয়ের চিঠিতে এল কিভাবে। দীপকবাবু বলেন, ডিআই অফিস থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে স্কুল শিক্ষা কমিশনারের কাছে যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনো জবাব এসেছে কিনা তা জানতে চেয়ে কোনো জবাব ডিআইয়ের কাছ থেকে তিনি পাননি। এরপরে তিনি জেলা শাসকের কাছে আবেদন করেন অন্তত তিনি যেন ঐ রিপোর্টের ভাগ্যে কি হল তা জানতে চান। কিন্তু জেলা শাসকের চিঠির জবাব ডিআই দেননি। সেই ডিআই আজকে জল ঘুলিয়ে দিতে আচমকা ভুল তারিখের উল্লেখ করে নিজের মনগড়া উত্তর দিচ্ছেন। যে জিনিস তার কাছে জানতে চাওয়া হয়নি সেই জবাব দিচ্ছেন। এটা আশ্চর্যজনক বিষয়। দীপকবাবু বলেন, আসলে ডিআই নিজের দোষ ঢাকতে পুরো বিষয়টিকে ঘুলিয়ে দিতে চাইছেন। কিন্তু এতে কোনো লাভ হবে না। এটা দিনের আলোর মত পরিষ্কার নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠে চন্ডীচরণ ত্রিপাঠীর আমলে দুর্নীতি হয়েছিল। সেই দুর্নীতির অভিযোগ চাপা দিতে পুলিশের ডায়েরী, টাকা দাবি করে উকিলের নোটিশ, মামলা দায়ের কোনো কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু আদালতের দরজায় প্রমাণিত আমি ভুল ছিলাম না। তখন থেকেই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা শুরু করেন চন্ডীচরণ ত্রিপাঠী। কিন্তু লড়াইয়ের হাল দীপকবাবু ছাড়বেন না এটা তারা বুঝতে পারেননি। সেজন্যই এখন তদন্তকে ঘুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। তিনি কি নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে সাহায্য করছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা দপ্তরের ডিআই?

Latest