Skip to content

সাঁতার না জানা সত্ত্বেও ড্যাম নেবে মৃত্যু নবম শ্রেণীর দুই বন্ধু!

1 min read


পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে মায়ের স্কুটি নিয়ে রবিবার সকাল দশটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল খড়গপুর শহরের ইন্দা নিউ ট্রাফিক এলাকার বাসিন্দা তথা খড়্গপুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র আরিয়ান পাসোয়ান। ফোন করে ডেকে নিয়েছিল দুই বন্ধু তথা ওই এলাকারই বাসিন্দা পীয়ূষ পাসোয়ান ও আর্য বেরাকেও। এরপর তিন বন্ধু স্কুটিতে চেপে পৌঁছে গিয়েছিল মেদিনীপুর শহরের অদূরে অ্যানিকাট ড্যামে। সাঁতার না জানা সত্ত্বেও আরিয়ান ড্যামের অনেকটা গভীরে নেমে যায়। এরপরই জলশ্রুতে তলিয়ে যেতে থাকে সে তাকে বাঁচাতে লাফ দেয় পীয়ূষ-ও। দু'জনই তলিয়ে যায়। এরপর আর্যর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই প্রথমে আর্য-কে টেনে নিয়ে আসেন। পরে আরিয়ান ও পীয়ূষের দেহও উদ্ধার করেন। তবে, দেহে প্রাণ ছিল না! ততক্ষণে অবশ্য পৌঁছে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশও। দু'জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছি রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ মেদিনীপুর ও খড়্গপুরের সংযোগস্থলে অ্যানিকাট ড্যামে।পুলিশ ও এলাকার মানুষ সূত্রে জানা গেছে, বছর ১৫-র তিন কিশোরই খড়্গপুর শহরের ইন্দা নিউ ট্রাফিক এলাকার রেল কলোনির বাসিন্দা। তিন জনই পড়ত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে। আরিয়ান ও পীয়ূষ আবার সম্পর্কে মামাতো-পিসতুতো ভাই। আরিয়ানের বাবা নেই। মা ও ভাই আছে। মা ঊষা পাসোয়ান পেশায় রেল কর্মী। তাঁর স্কুটি নিয়েই তিন বন্ধু রওনা দিয়েছিল। পীয়ূষের বাবা রাজেশ পাসোয়ান জানান, "আমিও রেলকর্মী। ডিউটিতে ছিলাম। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। ততক্ষণে সব শেষ! আরিয়ান আমার বড় ছেলে। আর পীয়ূষ বড় ভাগ্না। টিউশন পড়তে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিল। এর বেশি আর কি বলব!" ঘটনাটি ঘিরে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

Latest