Skip to content

১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সফররত পাক বিদেশমন্ত্রীর বিবৃতি উড়িয়ে দিল ঢাকা!

ঢাকা, জাকির হোসেন: বাংলাদেশ সফরের শুরুতেই হোঁচট পাক বিদেশমন্ত্রীর। রবিবার ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর দেওয়া বিবৃতি সরাসরি উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তথা বিদেশমন্ত্রী। পাকিস্তানের তরফে বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেছিলেন, একাত্তর ইস্যুতে পাকিস্তানের ভূমিকায় ক্ষমা চাওয়া-সহ যাবতীয় সমস্যার সমাধান, এক নয়, দু’বার করা হয়ে গিয়েছে। তাঁর এহেন মন্তব্যের বিরোধিতা করে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী তৌহিদ হোসেনের বক্তব্য, এই ইস্যুতে দু’পক্ষ একমত হলে তো সব সমস্যার সমাধান হয়েই যেত। কিন্তু বাস্তব তেমনটা নয়। ৫৪ বছরের সমস্যা একদিনেই সমাধান হয়ে যাবে, ঢাকা তেমন আশাও করে না। তবে আলোচনা চলতেই পারে।শনিবার দু’দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছান পাক বিদেশমন্ত্রী ইসহাক দার। এই সফরে দু’দেশের মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। তার আগে অবশ্য রবিবার ঢাকার এক হোটেলে দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। বৈঠক শেষে পাক বিদেশমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তাতে একাত্তেরের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা-সহ একাধিক অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করা গয় তাঁকে। ইসহাক দার জবাবে বলেন, ”বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত ইস্যু দু’বার সমাধান হয়ে গিয়েছে। ১৯৭৪ সালে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ও ২০০২ সালে পারভেজ মোশারফের সফরে দুঃখপ্রকাশের মধ্যে দিয়ে সমাধান হয়। তাঁর আরও মন্তব্য, ”ইসলাম বলেছে, হৃদয় পরিষ্কার করতে। আপনারা আপনাদের হৃদয় পরিষ্কার করুন। আমি মনে করি, আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সামনে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে।”দারের এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী তৌহিদ হোসেন বলেন, ”৫৪ বছরের সমস্যা নিশ্চয়ই একদিনের বৈঠকে সমাধান হবে না। আমরা পরস্পরের অবস্থান তুলে ধরেছি। তবে দুই পক্ষই একমত হয়েছে যে, অমীমাংসিত বিষয়গুলি আমাদের সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা চাই হিসেবনিকাশের মাধ্যমে আর্থিক বিষয়টির সমাধান হোক। আমরা চাই, যে গণহত্যা হয়েছে সেটার জন্য তারা দুঃখপ্রকাশ করুক, ক্ষমা চাক।” এদিন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে মোট ৬টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

Latest