Skip to content

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্ম ও প্রয়াণ দিবসে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা!

নিজস্ব সংবাদদাতা : ডঃ বিধান চন্দ্র রায় ভারতের বিস্মৃত 'জাতীয় ডাক্তার' যিনি বিশ্বজুড়ে সম্মান অর্জন করেছেন। ভারতরত্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের আধুনিক ইতিহাসের এক সংকটময় সময়ে তাঁর পেশার সেরা প্রতিনিধিত্বকারী একজন। ১৮৮২ সালের ১ জুলাই বিহারের পটনা জেলার বাঁকিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ডা. বিধানচন্দ্র রায় । তাঁর পিতার নাম প্রকাশচন্দ্র রায়। যিনি ডেপুটি কালেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। বিধানচন্দ্র রায় তাঁর পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোটো ছিলেন।পটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করেন। ১৯২২ সালে কলকাতা মেডিক্যাল জেনারেলের সম্পাদক এবং বোর্ড সদস্য হন ডা. বিধানচন্দ্র রায়।ডা. বিধানচন্দ্র রায় পেশাগত ভাবে ছিলেন একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক। অন্য দিকে, তিনি একজন সমাজসেবক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী।

জাতীয় কংগ্রেসের একজন গুরুত্বপূর্ণ গান্ধীবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯২৬ সালে নিজের প্রথম রাজনৈতিক ভাষণ দেন বিধানচন্দ্র। ১৯২৮ সালে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।ভারতের স্বাধীনতার পর নিজের সমগ্র জীবন চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করেছিলেন ডা. বিধানচন্দ্র রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ১৯৪৮ সালে শপথ নিয়েছিলেন। তার পর থেকে ১৪ বছর ওই পদে ছিলেন।১৯৬১ সালে তিনি ‘ভারতরত্ন’ সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৬৭ সালে, দিল্লিতে তাঁর সম্মানে ডক্টর বিসি রায় মেমোরিয়াল লাইব্রেরিও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১ জুলাই তাঁর জন্মদিন ও মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬২ সালের ১ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ডা. বিধানচন্দ্র রায়। ডঃ রায়ের মৃত্যুতে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল তাকে "ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম চিকিৎসা পরামর্শদাতা, যিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর সমসাময়িকদের চেয়েও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিলেন" বলে অভিহিত করেছে। এতে কি অবাক হওয়ার কিছু নেই? মৃত্যুতে বলা হয়েছে যে "তার পেশাগত শীর্ষে থাকাকালীন তিনি সম্ভবত বিশ্বের বৃহত্তম পরামর্শদাতা ছিলেন, কোনও শহর বা এমনকি রেলওয়ে স্টেশনে তাঁর ভ্রমণের খবরে প্রচুর রোগীর আগমন ঘটে"।

Latest