Skip to content

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের "আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪৩০"

1 min read

নিজস্ব সংবাদদাতা : সন্তের দুপুরে মন যখন বিহুর নেশায় রঙিন, তখন তা আরো রাঙিয়ে দিতে ঢোলের বাদ্য বাজিয়ে কাগজে বানানো মাইক নিয়ে গলা ছেড়ে হাঁকডাক করছে একদল তরুণ-তরুণী। আশেপাশের মানুষ কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এ যুগেও ৫০ টাকায় সিনেমা দেখা যায়! তা-ও আবার সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত থেকে শুরু করে একদম ধ্রুপদি চলচ্চিত্র। যায় বইকি, খুব যায়! আমাদের বাঙালির সিনেমা দেখার প্রকৃত আমেজ কী বলুন তো? নতুন সিনেমা এসেছে, পুরো শহর-গ্রাম ছেয়ে আছে পোস্টারে। মায়ের বকুনি থেকে বাঁচতে রাজ্যের দুরূহ পরিকল্পনা সেরে, টিফিনের টাকা বাঁচানো কোনো স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, এলোমেলো বন্ধুরা, লুকিয়ে বাঁচিয়ে প্রেম করা কপোত-কপোতি, গ্রামের বয়স্ক বৃদ্ধ, খেটে খাওয়া মানুষ কিংবা সপ্তাহান্তে বা মাসে একবার পরিবারের সবাই মিলে ম্যাটিনি শো দেখা—একসময় চলচ্চিত্র সবার ছিল, মানুষের ছিল। মাঘ-ফাল্গুনের হাওয়ায় নতুন দিনে চলচ্চিত্রের আমাদের চিরপরিচিত সেই পুরোনো প্রিয় সুর ও ঘ্রাণ ফিরে আসে যেন 'আমার ভাষার চলচ্চিত্র' আয়োজনের মধ্য দিয়ে।চারিদিকে পুরোনো দিনের চলচ্চিত্রের পোস্টার, পুরোনো গান, উৎসুক দর্শকের টিকিট কাউন্টারে টিকিটের অপেক্ষা, ঠেলাঠেলি করে লাইনে দাঁড়িয়ে সিনেমা দেখা—আমার ভাষার চলচ্চিত্র যেন প্রকৃত অর্থেই বাঙালির চলচ্চিত্রের উৎসব। গত ২২ বছর ধরে বাংলা চলচ্চিত্রকে ভালোবাসার চিরকুট দিয়ে যাচ্ছে এ চলচ্চিত্র উৎসব। আজ গল্পের আসর জমবে এ আয়োজনের গল্পকে ঘিরেই।প্রতি বছর ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে 'আমার ভাষার চলচ্চিত্র' উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সেজে ওঠে চলচ্চিত্রের ঢংয়ে। 'বেহুলা' থেকে 'রূপবান', 'বারুদ' থেকে 'অঙ্গার'—যেদিকে চোখ যায়, বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি সময়ের সাক্ষ্য দেয় নানান পোস্টার।

Latest