Skip to content

বীর বাঙালি বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্মদিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য!

২৫ মে অধুনা পূর্ব বর্ধমান জেলা সুবলদহ গ্রামে জন্ম রাসবিহারী বসুর ৷ সেখানেই কেটেছে ছেলেবেলা ৷ পড়েছিলেন গ্রামেরই পাঠশালায় ৷ প্রায় ১৪ বছর বয়সে গ্রাম ছেড়ে চন্দননগরে চলে যান ৷ তারপর থেকে আর জন্মভিটেতে পা পড়েনি রাসবিহারী বসুর ৷ তবে অনেকের বক্তব্য, ইংরেজ পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে প্রায়ই সুবলদহে আসতেন ৷ কয়েকদিন আত্মগোপন করে থাকতেন, আবার চলে যেতেন ৷ ইতিমধ্যে দেশের স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর রাসবিহারী বসু ১৯১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পাড়ি দেন জাপানে ৷ দশকের পর দশক ধরে প্রশান্ত মহাসাগরের কোলে থাকা এই দ্বীপরাষ্ট্রটি রাসবিহারী বসুকে শুধুই যে নিরাপদ একটি আশ্রয় দিয়েছে তাই নয়, দিয়েছে বীরের সম্মানও। এক কথায় রাসবিহারী বসুর সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর এবং গুরুত্বপূর্ণ। জাপানে থেকেই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি চেষ্টা করে গিয়েছেন রাসবিহারী বসু। সে দেশেই তিনি তৈরি করেছেন 'ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগ'। যা ভারতবর্ষের বাইরে থাকা ভারতীয়দের সংঘটিত করার জন্য ছিল একটি অভূতপূর্ব প্রয়াস।

জানা গিয়েছে, ১৯১৫ সালে লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা হামলার পর ব্রিটিশ পুলিশের নজর এড়িয়ে রাসবিহারী বসু জাপানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি প্রভাবশালী প্যান-এশিয়ানিস্ট নেতা তোওয়ামা মিৎসুরু এবং তাঁর সহযোগী সোওমা আইজোর সহায়তায় রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছিলেন।

সোওমা পরিবারের 'নাকামুরায়া' বেকারির ওপর তলায় তিনি আশ্রয় নেন এবং পরবর্তী সময়ে তাঁদের কন্যা তোশিকো সোমার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জাপানে থাকাকালীন রাসবিহারী বসু 'ভারত মৈত্রী সমিতি' তৈরি করেছিলেন।

এই সংগঠনটি ভারতীয় ও জাপানি নাগরিকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। রাসবিহারী বসু জাপানি ভাষায় বিভিন্ন বই রচনা করেছিলেন। সেই সব বইয়ের মাধ্যমেও তিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের বার্তা জাপানি সমাজে প্রচার করেন। ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের অগ্রগণ্য বিপ্লবী নেতা রাসবিহারী বসুর জন্মদিবসে বিনম্র শ্রদ্ধা ভারতবর্ষের ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের একজন অগ্রগণ্য বিপ্লবী নেতা এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির অন্যতম সংগঠক বীর বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্মদিবসে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ও সশ্রদ্ধ প্রণাম।

Latest