Skip to content

খড়্গপুরের চেয়ারম্যান কল্যাণী ঘোষের বাড়িতে এক যুবকের হামলা!

নিজস্ব সংবাদদাতা : খড়্গপুরের চেয়ারম্যান কল্যাণী ঘোষের বাড়িতে এক যুবক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে খড়্গপুরের কৃষ্ণপুর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে চেয়ারম্যান বাড়িতে পৌঁছায় মোহাম্মদ ইশান নামে এক যুবক। সেখানে পৌঁছে তিনি চেয়ারম্যানকে জাত সনদে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এরপর চেয়ারম্যান কল্যাণী ঘোষ তাকে শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে আসার পরামর্শ দেন। জানা গেছে, যুবক জোর দিয়েছিলেন। তিনি চেয়ারম্যানকে সই করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সেও চিৎকার করতে থাকে। এরপর মেয়র তাকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে বাসায় প্রবেশ করেন। জানা গেছে, এর পর যুবকরা কল্যাণী ঘোষেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর কল্যাণী ঘোষের আত্মীয়রা পাশের বাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই যুবককে ধরে ফেলে ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূলের সব নেতা-কর্মীরা থানায় পৌঁছান। সেখানে পৌঁছে যান চেয়ারম্যান কল্যাণী ঘোষও। তিনি অভিযোগ দায়েরের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। মহম্মদ ঈশানের বাড়ি শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। খবর পেয়ে আসে খড়্গপুর টাউন পুলিশ। সেই সময় কল্যাণীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ঈশান। তাকে আটক করে পুলিশ। পরে থানায় যান কল্যাণী। ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়নি। এমন ঘটনার পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুরপ্রধান। তিনি বলেন, “আমি কাউকে ফিরিয়ে দিই না। কিন্তু রাতে আমি যখন বিশ্রাম নিতে যাব সেই সময় এই যুবক এসে জাতিগত শংসাপত্রে সই করতে বলে। আমি সকালে আসতে বলায় বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করতে থাকে। তখন পড়শি কয়েকজন এসে ওকে পাকড়াও করলে মারধর শুরু করে। আমি বেরিয়ে আসলে আমাকেও ধাক্কা দেয়। মারধর করে। মনে হচ্ছে আমাকে মারতেই এসেছিল।” তিনি জানিয়েছেন, “আমি প্রথমে ওই যুবককে চিনতে না পারলেও পরে চিনেছি। আমাদের দলেরই কর্মী। পরে পুলিশ এলে ক্ষমা করে দিতে বলে। এমন আচরণ কেন করেছে জানতে চাইলে বলে ওকে কেউ পাঠিয়েছিল। বাকিটা পুলিশ দেখবে। আমি দলের নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”

Latest