বরুণ কুমার বিশ্বাস : ঘাটাল, পুরসভার অভ্যন্তরে রদবদল শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের অভ্যন্তরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ দলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।পুরসভার শীর্ষস্থরে অসম বন্টনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রবীণ-নবীন সদস্যদের মধ্যে কর্তৃত্ব রদবদল করার পরিপ্রেক্ষিতে পুর প্রতিনিধিদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল শহর তৃণমূলের সভাপতি অরুন মন্ডলের কথায় দলের কথামতো নতুন উপ-পুরপ্রধান দায়িত্ব নিয়েছেন। সামান্য সমস্যা থাকলেও সেটা মিটে গেছে।গত লোকসভা ভোটে ঘাটাল পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস জোর ধাক্কা খেয়েছিল। সাংগঠনিক স্তরে জেলা ধরে ধরে পুরসভা গুলিতে রদবদল শুরু হতেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। সাম্প্রতিককালে কার্যকর হতেই টানা পোড়েন শুরু হয়েছে। গত লোকসভা ভোটে ঘাটাল শহরকেন্দ্রিক ভোটে বিজেপি তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল। ঘাটাল শহরের শিলাবতী নদীর পূর্বপাড়ের ফল তুলনামূলকভাবে খারাপ ছিল। শিলাবতী নদীর পূর্ব পাড়ে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কুশপাতায় তৃণমূল প্রার্থী অনেক কম ভোট পাওয়ায় এবং নতুন যে রাস্তা পাঁশকুড়া থেকে ঘাটালের উপর দিয়ে তৈরি হয়েছে তার ফুটপাত দখলের বিরুদ্ধে এবং বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে ওঠায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছিল। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধিকে উপ-পুরপ্রধান পদ থেকে সরিয়ে চার নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি ডেভিড সাহাকে ওই পদ দিয়েছে দল। এতে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে অসন্তোষ। সঠিকভাবে শীর্ষ পদ বন্টন না হওয়ায় এবং নদীর এক পাড়ের প্রতিনিধিরাই কর্তৃত্ব পেয়েছে এই বক্তব্যকে তুলে ধরে শুরু হয়েছে নানা রকম জল্পনা! তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য মানুষ পরিষেবা ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।