Skip to content

হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃত বেড়ে হল ১২১, FIR-এ স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নাম নেই, ‘বেপাত্তা’ ভোলে বাবা, ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ!

নিজস্ব সংবাদদাতা :  উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলার ফুলরাই গ্রামে আয়োজিত এক ধর্মসভায় পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে বুধবার সকাল পর্যন্ত অন্তত ১২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বুধবার সকালেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে এফআইআরে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবার নাম নেই। শুধুমাত্র অনুষ্ঠানের আয়োজকদের নাম রয়েছে এফআইআরে। ইলাহাবাদ হাই কোর্টে সেই মর্মে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। হাথরসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে।। হাথরসই পদপিষ্টের ঘটনায় গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে উঠে আসছে ছোট জায়গায় মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, ভয়ানক আদ্রতা ও গরমের পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যর্থতার কথাও। সিকান্দারা রাও থানার এসএইচও, আশিস কুমার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সন্ত ভোলে বাবা নামে এক স্থানীয় ধর্মগুরুর বক্তৃতা শুনতে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিল। ভক্তদের কাছে তিনি ভোলে বাবা নামেই পরিচিত। তাঁরই ডাকা ‘সৎসঙ্গে’ পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু তার পর থেকেই ‘বেপাত্তা’ স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি। হাথরস-ইটা সীমান্তের কাছে রতিভানপুরে এই সভার আয়োজন করা হলেও, মথুরা, আগ্রা, ফিরোজাবাদ এবং ইটা থেকে দলে দলে লোক জড়ো হয়েছিলেন ওই সভায়। সব মিলিয়ে অন্তত ৫০,০০০ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন সেখানে। সৎসঙ্গ শেষ হতেই তাঁবু থেকে বের হওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে। শকুন্তলা দেবী নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সৎসঙ্গ শেষে ভক্তরা বের হওয়ার সময় হুড়োহুড়িতে অনেকে পড়ে যান। এরপর, একে অপরের উপর পড়ে যেতে থাকেন একের পর এক মানুষ। তাতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাতেই পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। এর পাশাপাশি ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসন ও অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতেও অনেক দেরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মানুষ। মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকেই হাথরসের বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে ভোলে বাবার উপর। তাঁর পোস্টার লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ইট-পাথরও। এমন ঘটনার বেশ কিছু ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা এও দাবি করেছেন, ঘটনার পর সেখানে কোনও পুলিশ বা প্রশাসনিক সাহায্য ছিল না। তার আসে অনেক দেরিতে। ফলে, আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু বেসরকারি বাস ও ট্রাকে করে হতাহতদের হাথরস ও আশেপাশের জেলাগুলিতে অবস্থিত হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হয়। হাসপাতালগুলিতেও এই ধরনের বিপর্যয়ের মোকাবিলা করার মতো যথেষ্ট পরিকাঠামো ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। সিকন্দরারাও ট্রমা সেন্টারে যেমন উপযুক্ত পরিমাণে অক্সিজেন ছিল না বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চিকিৎসক ছিলেন মাত্র একজন।

Latest