Skip to content

রাম নামে মুখরিত সরযূ থেকে সাত সমুদ্র পার, কেমন দেখাচ্ছে রাম মন্দিরকে?

1 min read

নিজস্ব সংবাদদাতা : আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর হাতে রামলালার নতুন মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। উৎসব মুখর অযোধ্যা শহর। বেলা ১২টা বেজে ২৯ মিনিট ৮ সেকেন্ড থেকে ১২টা বেজে ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মূল অনুষ্ঠান। ষোড়শ উপাচারে হবে পুজো। এই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মরণীয় করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরতি এবং ঘণ্টাধ্বনি শেষে হবে মঙ্গলধ্বনি। থাকছে বাংলার শ্রীখোল ও সরোদ। মন্দির চত্বরে বিভিন্ন ভারতীয় তালবাদ্য বাজাবেন ৩০ জন শিল্পী।

সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। ঐতিহ্যবাহী নাগারা আদলে (উত্তর ভারতের মন্দির শৈলী) তৈরি করা হয়েছে অযোধ্যার রামমন্দির। পূর্ব-পশ্চিমে রামমন্দিরের দৈর্ঘ্য হল ৩৮০ ফুট। চওড়া হল ২৫০ ফুট। উচ্চতা হল ১৬১ ফুট।

অযোধ্যার রামমন্দিরে মোট ৩৯২টি পিলার এবং ৪৪টি দরজা আছে। রামমন্দিরের নকশা তৈরি করেছে স্থপতি চন্দ্রকান্ত বি সোমপুরা এবং তাঁর ছেলে আশিস সোমপুরা। ২.৭ একর জমিতে রামমন্দির তৈরি করা হয়েছে।রামভূমিতে নিরাপত্তার লক্ষ্মণরেখা ৷ নিরাপত্তার দায়িত্বে CRPF, নজরদারিতে কমান্ডো এবং নিরাপত্তায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ATS ৷ রাম মন্দিরের নিরাপত্তার মূল দায়িত্বে SPG ৷ রামভূমিতে মোতায়েন ১৭ জন আইপিএস অফিসার ৷ অযোধ্যার মোড়ে মোড়ে পুলিশ পিকেট ৷ রাম মন্দিরের আশপাশে ATS ৷ অযোধ্যা জুড়ে ১০ হাজার সিসি ক্যামেরা ৷

অযোধ্যায় ড্রোনে নজরদারি চলছে ৷ নদী তীরে NDRF, SDRF, স্পিড বোটে নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷ সেনা-পুলিশে ছয়লাপ অযোধ্যা রামনগরী ৷অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত থাকলেও রাম মন্দির চত্বরে প্রবেশের আগে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে অতিথিদের৷ এমন কি, ভিআইপি-রাও ছাড় পাবেন না৷ যেহেতু মন্দির চত্বরে প্রবেশ করবেন, তাই জুতো পরে কেউই ভিতরে ঢুকতে পারবেন না৷ এ ছাড়াও আরও দুটি জিনিস রাম মন্দিরের ভিতরে নিয়ে যেতে পারবেন না কেউ৷ নিরাপত্তার কারণেই, রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদেরও মোবাইল ফোন এবং ক্যামেরা নিয়ে ভিতরে যেতে দেওয়া হবে না৷ মন্দির চত্বরের বাইরেই আমন্ত্রিত অতিথিদের জুতো, ফোন, ক্যামেরা জমা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তবে মন্দির খুলে গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী নিয়ম হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

 

0:00
/1:20

Latest