Skip to content

মেদিনীপুর স্টেশনে অসুস্থ মহিলার পাশে দাঁড়ালেন মানবিক অধ্যাপক ড.অমিতাভ নায়েক!

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : সোমবার সকাল ১০.১০ হাওড়া মেদিনীপুর লোকাল ট্রেনে মেদিনীপুর স্টেশনে ৩ নং প্লাটফর্মে ট্রেন থেকে নামেন মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তনী রানীগঞ্জ টি ডি বি কলেজের অধ্যাপক ড.অমিতাভ নায়েক। পায়ে পায়ে ফ্রুট ওভার ব্রিজের দিকে একটু এগোতেই তাঁর চোখে পড়ে এক ভদ্রমহিলা প্লাটফর্মের চেয়ারে অচৈতন্য অবস্থায় শুয়ে আছেন। পাশে ওনার মেয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে মাকে জাগানোর চেষ্টা করছেন। উনি এগিয়ে গিয়ে ঠান্ডা জল চোখে মুখে ও মাথায় দেন, জ্ঞান ফেরে ওনার। মেয়েকে অপেক্ষা করতে বলে সোজা ১ নং প্লাটফর্মে রেল সুরক্ষা বলে'র কার্যালয়ে চলে যান। ওনাদের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কনস্টেবল সুজিত মুখোপাধ্যায়ের সাথে দুই জন সহকর্মীকে নিয়ে ফিরে আসেন। ওনাদের সহযোগিতায় হইলচেয়ারে করে স্টেশনের বাইরে নিয়ে আসেন অসুস্থ মহিলাকে। টোটোতে অসুস্থ টুম্পারানি খাঁড়া ও তাঁর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুষ্টিবিদ্যা বিভাগে পাঠরতা কন্যা মৌমিতা খাঁড়াকে তুলে দিয়ে টোটোচালককে রবীন্দ্রনগরে চিকিৎসক ডাঃ আর. সিনহা রায়ের চেম্বারে নিয়ে যেতে বলেন। পাশাপাশি অমিতাভবাবু ফোন করেন ডাক্তার বাবুকে। ডাক্তারবাবু তাড়াতাড়ি চেম্বারে নিয়ে যেতে বলেন। রেল পুলিশের ফর্মালিটি সেরে নিজের স্কুটারে চেপে অমিতাভ বাবু দ্রুত পৌঁছে যান ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তার বাবু দেখে ঔষধ দেন এবং অপেক্ষা করতে বলেন। প্রায় ঘন্টাদুয়েক পর উনি একটু সুস্থ হন। আরো পরে টুম্পারাণির দেবীর বাড়ির লোক পূর্ব মেদিনীপুরের বলাইপন্ডা থেকে মেদিনীপুরে পৌঁছান। ওনাদের হোটেলে ভাত খাইয়ে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন অমিতাভ বাবু। মঙ্গলবার ও বুধবার দুদিনই অমিতাভ বাবু ফোনে টুম্পাদেবীর স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন । টুম্পাদেবী এখন ভালো আছেন। উল্লেখ্য অমিতাভবাবু একজন নিয়মিত রক্তদাতা। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে এর আগেও অমিতাভবাবু সাধ্যমত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অমিতাভবাবুর ভ্রাতৃপ্রতিম বন্ধু শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া। সেখানে নেটিজেনেরা অমিতাভবাবুকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন।

Latest