নিজস্ব প্রতিবেদন : পাঁচবারের সেমিফাইনালিস্ট। চার বার জয়। টাই একবারে। ইডেনেও কাটল না নকআউটের সেই অভিশাপ। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দেখানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা বিদায় সেই সেমিফাইনালের মঞ্চ থেকে। ইডেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লো স্কোরিং থ্রিলারে হেরে আরও একবার চোকার্স তকমা নিয়ে দেশে ফিরছেন কুইন্টন ডিককরা।ইডেনের থমকে আসা পিচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে দক্ষিণ আফ্রিকা মিলারের সেঞ্চুরিতে ভর করে মাত্র ২১২ তুলেছিল। সামান্য এই টার্গেট চেজ করতে নেমেই নাটকীয় উত্থান পতনের সাক্ষী থাকল বৃহস্পতিবারের রাত। ওয়ার্নার-ট্র্যাভিস হেড উড়ন্ত সূচনা করে প্ৰথম ৬ ওভারেই ৬০ তুলে দিয়েছিলেন। প্ৰথম ৬ ওভারে ১০ এর ওপর রান রেট নিয়ে ব্যাট করতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস যে হৃদকম্প বাড়িয়ে ৪৭.২ ওভার পর্যন্ত পৌঁছবে, কে ভাবতে পেরেছিল!পরপর দু-ওভারে ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ আউট হয়ে যাওয়ার পরেও ভাবা যায়নি অজিদের জয়ে বিন্দুমাত্র সংশয়ের মেঘ থাকবে। তবে দুর্ধর্ষ সূচনার পরেও অস্ট্রেলিয়া একসময় উইকেট হারিয়ে, রান তোলার গতি হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিল।প্রোটিয়াজদের মাঝের ওভারে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তাঁদের স্পিনাররা। ১৫ তম ওভারে কেশব মহারাজ তুখোড় ফর্মে ব্যাট করতে থাকা ট্র্যাভিস হেডকে (৪৮ বলে ৬২) ফেরান। এরপরে তাব্রিজ শামসি পরপর দু-ওভারে ম্যাক্সওয়েল এবং লাবুশেনকে আউট করে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩৭/৫-এ নামিয়ে এনেছিলেন।এখন থেকেই হঠাৎ যে সংশয়ের ঘূর্ণি ঝড় আবির্ভাব ঘটে, তা ম্যাচকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া স্টিভ স্মিথকে আউট করে নতুন করে রোমাঞ্চের আমদানি করেন কোয়েটজে। অজি কিপার জস ইংলিশকেও ফেরান এই কোয়েটজে। তবে ইংলিশ আউট হওয়ার পর অজিদের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ১৯ রান। বাকি সেই রান তুলতেই অস্ট্রেলিয়া নিয়ে নেয় ৪৫ বল। শেষদিকে মহারাজ, কোয়েটজেরা আঁটোসাঁটো বোলিং করে মরণ কামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে প্যাট কামিন্স (২৯ বলে ১৪) এবং মিচেল স্টার্ক (৩৮ বলে ১৬) ক্রিজে টিকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।