Skip to content

জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ঘটে যাওয়া নারকীয় জঙ্গি হামলার পর ভারতের জবাবি অভিযান ছিল "অপারেশন সিঁদুর"!

নিজস্ব সংবাদদাতা : বুধবার ৭ মে সকালে দিল্লিতে প্রেস ব্রিফ করে ৩ সদস্যের এক টিম। প্রেস ব্রিফে অংশ নেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি, সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, বায়ুসেনা উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। পাকিস্তানকে মোক্ষম জবাব দেওয়ার পর দিল্লির বুক থেকে এই তিন ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে ‘অপারেশন সিঁদুরের’ প্রেস কন্ফারেন্স বা পিসি ইঙ্গিতবহ বলে মনে করা হচ্ছে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে নারকীয় জঙ্গি হামলার পর থেকে খবরে কাশ্মীর। আর বুধবার বিক্রম মিশ্রি জঙ্গি হামলার জবাব প্রত্যাঘাত ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কে দিল্লির বুক থেকে সকলকে করলেন অবহিত। যিনি ভারতের বিদেশ সচিব, তাবড় কূটনীতিবিদ এবং একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, ১৯৬৪ সালের ৭ নভেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে জন্ম বিক্রম মিশ্রির। উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের সদস্য।

বিদেশসচিব বলেন, "মুম্বই হামলার পর পহেলগাঁওয়ের ঘটনা সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা। পরিবারের সামনে পুরুষদের মাথায় গুলি করে মারা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে ফিরে আসা স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে নষ্ট করার লক্ষ্যেই এই আক্রমণটি করা হয়েছিল। বিশেষ করে, অর্থনীতির মূল ভিত্তিকে নষ্ট করার জন্যই এই হামলা। জঙ্গি সংগঠন টিআরএফ হামলার দায় স্বীকার করেছে। জইশ, লশকরেরা এই ধরনের ছোট সংগঠনের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে। তার বিরুদ্ধই ভারতের এই জবাব।’এরপরেই অপারেশন সিঁদুরের বর্ণনা দেওয়া শুরু করেন কর্নেল সোফিয়া এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা। তাঁরা বলেন, ''পাকিস্তানে মোট ন’টি ঘাঁটিকে নিশানা করা হয়েছে। সেগুলিকে পুরো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।"তালিকা প্রকাশ করে দুই সেনা আধিকারিক দেখান কোথায় কেন হামলা চালানো হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, প্রথম নিশানা ছিল শুভান আল্লাহ মসজিদ। সেখানে লস্কর-ই-তইবার ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। বিলাল মসজিদে ছিল জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র। কোটলির মসজিদে ছিল লস্করের ঘাঁটি। এগুলি সবই ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে।

Latest