নিজস্ব সংবাদদাতা : রবিবার জয়ের কারিগর দীর্ঘ সময় ধরে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন এই মহিলা ব্রিগেডকে। তিনি হলেন ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের কোচ অমল মজুমদার। ভারতীয় দলের পোশাক কোনওদিন পরাই হয়নি তাঁর। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে সাড়া জাগানো এক নাম ছিলেন অমল মুজুমদার।কুড়ি বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট শুরু করেন ডাবল হান্ড্রেড করে। তাঁর গাণ্ডীব কথা বলত। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন যে ভারতীয় দলে তাঁর জায়গা পাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু যা ভাবা যায় তা সব সময়ে হয় না। অমল মুজুমদারের পক্ষে জাতীয় দলের জার্সি চাপানো সম্ভব হয়নি কোনওদিন। বিবার অমল মুজুমদারকে গুরুদক্ষিণা দিলেন হরমনপ্রীত কৌররা।

এবারের বিশ্বকাপে এগারো জন বাঘিনী আর এক চাণক্যর গল্প বললেও অত্যুক্তি করা হবে না। একসময়ে খাদের কিনারায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারতের মেয়েরা। বিশ্বকাপে টানা তিনটি ম্যাচ হেরে বিদায়ঘণ্টা শুনে ফেলেছিলেন হরমনপ্রীতরা। কিন্তু ফিনিক্স পাখির মতো প্রত্যাবর্তন ঘটে হরমনপ্রীতদের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অতিমানবিক এক ইনিংস খেলে দেশকে ফাইনালে নিয়ে যান জেমিমা। রক্তের গতি বাড়িয়ে দেওয়া সেই ম্যাচে বিরতির সময় অমলের পেপটক বদলে দিয়েছিল ভারতের বাঘিনীদের। ফাইনাল জেতার পরে 'চাণক্য' বলেন, ''অত্যন্ত গর্বিত। অবিশ্বাস্য সাফল্য। সব কৃতিত্ব ওদের প্রাপ্য। কঠোর পরিশ্রম করেছে। প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করেছে। আমরা হারকে হার হিসেবে দেখিনি। বেশিরভাগ ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করেছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম সমস্যা হয়তো কিছু রয়েছে। কিন্তু তা কাটিয়ে উঠতে হবে। সেটা আমরা করেছি। আমরা টুর্নামেন্টে টিকে ছিলাম এবং এখন আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য যুগান্তকারী এক মুহূর্ত। শেফালি সম্পর্কে একই কথা বলব, ম্যাজিকাল পারফরম্যান্স। ফাইনালে ভরা মাঠে জাদুকরী ইনিংস খেলে গেল। বল হাতেও ম্যাজিক দেখাল। ড্রেসিংরুমে আমরা ফিল্ডিং এবং ফিটনেস নিয়ে অনেক কথা বলেছিলাম। বিশ্বকাপ ফাইনালে ওরা নিজেদের অন্য এক উচ্চতায় তুলে ধরেছিল। এর থেকে বেশি আমি আর কি চাইতে পারি!'' সত্যি তো আর কী চাইতে পারেন অমল। একসময়ে 'দ্বিতীয় শচীন' বলা হত তাঁকে। ফাইনালের আগে মাস্টার ব্লাস্টার তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যান। এই রাতের জন্যই হয়তো এতদিন অপেক্ষা করছিলেন তিনি ।