ঢাকা, জাকির হোসেন: বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতার ঘাটতি’ এবং ‘ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত স্বার্থের প্রভাব’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে— এমনই দাবি করেছে আমেরিকা-ভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট তথা আইআরআই৷ অক্টোবরের ২০ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত একটি মূল্যায়ন মিশন চালানোর পর শুক্রবার সংস্থাটি জানিয়েছে, “দেশের কিছু এলাকায় রাজনৈতিক দলগুলির স্বাধীনভাবে প্রচার চালাতে না পারা, দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ফল।

এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিসর সংকুচিত হয়েছে।”আইআরআই-র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগকে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ‘প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন’ তুলেছে এবং এর ফলে ভোটের দিন সহিংসতার আশঙ্কা বাড়ছে।তবে রিপোর্টে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে কিছু উন্নতি হয়েছে বলে প্রশংসাও করা হয়েছে। যদিও সংস্থার দাবি, “বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখনও ঘাটতি রয়ে গিয়েছে।” রিপোর্টে উল্লেখ, রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার তথা আরপিও এখনো কার্যকর হয়নি এবং প্রচারণার অর্থব্যয়ের নিয়ন্ত্রণেও শিথিলতা রয়েছে। আইআরআই সতর্ক করে বলেছে, দলীয় অর্থায়ন ও প্রার্থী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা বাড়ানো না গেলে ‘কালো টাকার’ প্রভাব রাজনীতিকে বিকৃত করে যাবে।প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, তরুণদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আশার সঞ্চার করছে, কিন্তু চরমপন্থী মতাদর্শের উত্থান দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভিত্তিকে বিপন্ন করতে পারে।শেষে সংস্থাটি মন্তব্য করে, “জুলাই জাতীয় সনদ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণের নীলনকশা হতে পারে, তবে তার বাস্তবায়ন নির্ভর করছে আগামী সংসদের সদিচ্ছার উপর।”