পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব প্রতিবেদন : নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টির বিরাম নেই! এরই মধ্যে সোমবারের পর মঙ্গলবার ফের জল ছাড়লো ডিভিসি। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার নীচু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টি ও ডিভিসির বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ডিভিসি এদিন নিজেদের বিভিন্ন জলাধার থেকে আরও এক লক্ষ দশ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ৩৫ হাজার কিউসেক জল। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ৭৫ হাজার কিউসেক জল। এর ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়ার, একাধিক অংশ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে হুগলি জেলার অবস্থা সব থেকে বেশি আশঙ্কাজনক বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে। এমত অবস্থায় রাজ্য সরকার বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। নিরন্ত ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। ডিভিসির তরফে মুখ্য সচিবকে জানানো হয়েছে ৫ই অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বভাস রয়েছে। এর মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা মাথায় রেখে এই জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। রাদজযের সেচ দফতর পরিস্থিতির ওপর নজর রাখারা পাশাপাশি ডিভিসি ও ঝাড়খন্ড সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রাখছে। যেসব অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই সবঅঞ্চলে অগ্রিম ব্যবস্থা নিতে হবে; পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।মাইথন ও দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে দামোদরের সংলগ্ন নিম্নবর্তী এলাকা গুলিতে । জলঢুকতে শুরু করেছে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন সোনাই চন্ডিপুর এলাকায়। ধাপে ধাপে গ্রামের ভেতর জল ঢোকায় বেশ কিছু নিচু জায়গায় থাকা বাড়িগুলি জল মগ্ন হয়ে পড়েছে। এলাকা পরিদর্শনে আছেন মেজিয়া ব্লকের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। শিলাবতি নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে ঘাটালের নীচু এলাকাগুলিতে। জলস্থর ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ঘাটাল ব্লকের ব্যাঙরালে রাস্তার ওপর জল জমেছে প্রায় হাঁটু সমান, সেই জল পেরিয়ে চলছে স্কুল পড়ুয়া থেকে স্থানীয়দের যাতায়াত। কোথাও জল এক হাঁটু তো কোথাও এক কোমর, আবার কোথাও কোথাও জল পারাপার করার একমাত্র সম্বল ডিঙি।বৃষ্টির ফলে জল বাড়তে শুরু করেছে সুবর্ণরেখা ও কেলেঘাই নদীতে। গালুডি জলাধার থেকে দফায় দফায় জল ছাড়াই সুবর্ণরেখা নদীতে বাড়তে শুরু করেছে জল। আর আগাম প্রস্তুত থাকতে সুবর্ণরেখা তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন প্রশাসনের আধিকারিকেরা।