নিজস্ব সংবাদাতা: গত ১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ তারপরই গত ৩ জানুয়ারি ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে ঠিকাদারির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সুরেশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয় বছর ২৮-এর সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের দেহ। জানা যায়, স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে কাজ ও সাংবাদিক মুকেশ জেলার নানা রকম খবর তুলে ধরতেন নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘বস্তার জংশন’-এর মাধ্যমে। অন্যদিকে পেশায় সাংবাদিক মুকেশের দাদা যুকেশ অভিযোগ করেন, সম্প্রতি মুকেশ ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে ঠিকাদারির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সুরেশ নামক এক ব্যক্তির ১২০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এনেছিলেন। এর ফল স্বরূপ ওই সাংবাদিক কে নিয়মিত হুমকির মুখে পড়তে হত। তারপর ১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ ওই সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। পরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে জানা যায় নৃশংস ভাবে মেরে ফেলা হয়েছিল ওই তরুণ সাংবাদিককে। নিহত সাংবাদিকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুকেশের লিভার টিকে চার টুকরো করে দেওয়া হয়েছিল। ছিঁড়ে বার করে আনা হয়েছিল হৃৎপিণ্ড। বুকের পাঁচটি পাঁজর ভেঙে ফেলা হয়েছিল। মাথার ১৫টি হাড় ভাঙা ছিল। ভেঙে দেওয়া হয়েছিল ঘাড়ের হাড়ও। সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের দেহ পাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশ। প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে এবং ৩০০টি মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ মূল অভিযুক্ত সুরেশকে হায়দরাবাদে নিজের গাড়ির চালকের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল। অন্যদিকে পুলিশ আধিকারিকেরা খুনের কারণ জানতে অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছেন। সাথে সাথে সুরেশের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।