পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী মানুষদের শোষণ করে চলছে রেশমী গ্ৰুপের ৬নং কারখানা। প্রশাসনিক মহলে জানানো হলেও কারখানার জমি দখল বন্ধ হচ্ছে না। এমনকি জাত্তিসত্ত্বার অধিকার ধর্মীয় স্থানকেও হজম করতে চলেছে। গরীব খেটে খাওয়া আদিবাসী, ভূমিজ মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। আজ সাত শতাধিক গরীব মানুষ মিছিল করে গিয়ে রেশমীর ৬নং কারখানার গেটে ঘেরাও করে রাখে। কোম্পানির কতৃপক্ষ তাদের দোষ বুঝে ভয়ে তালা মেরে ভিতরে থেকে কথা বলে। খড়গপুর গ্ৰামীণ কৃষি জমি জীবিকা ও পরিবেশ সংগঠন এবং মাঝি পারগানা মহল, মুন্ডা সম্প্রদায়ের লোকেরা, ১ঘন্টা ধরে গেট অবরোধ করে রাখে।
কোম্পানির কাছে নিম্নলিখিত যে দাবি রাখা হয় ১)২৬৫ একরের ভেতরকার ২০০জন বরগাদারদেরকে অবিলম্বে জমির দাম অনুযায়ী ৫০% টাকা দিতে হবে।
২)রেশমী কারখানা মন্দিরের ভিতর দুটি বনদেবীর মন্দির এবং ১৪একর রায়ত জমি যা এখনো বিক্রি হয়নি তা কারখানার বাইরে করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩)রেশমী গ্ৰুপ দূষণ যুক্ত কারখানা করার নামে আদিবাসীদের ৩ফসলি জমি নেওয়া চলবে না।
৪) তিন ফসলি জমির চরিত্র বদল করা চলবে না।
৫)রেশমী গ্ৰুপের ৬নং কারখানায় পাইপের প্রোডাকশন করা চলবে না। এলাকাকে দূষণ মুক্ত রাখতে হবে।
কোম্পানির সঙ্গে আলোচনায় পর কোম্পানি কতৃপক্ষ অবৈধভাবে দখল করে রাখা পার্কিং জায়গা খালি করে দিতে চাই। প্রাচীন বনদেবীর মন্দির ২টি সকলের ব্যবহারের জন্য কোম্পানির বাইরে করে দেওয়া হবে বলে আলোচনা চলছে। আগামী বৃহস্পতিবার প্রশাসনের সামনে কারখানা কতৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীরা আলোচনায় বসবে।আন্দোলনকারীরা ফিরে গিয়ে অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখা ট্রাক গুলিকে বের করে তাদের সংগঠনের পতাকা পুঁতে দেয়।আজকের গ্ৰামবাসীদের ডাকে এই আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটির নেতৃত্ব। তারা গ্ৰামবাসীদের রেশমীর দূষনের ভয়াবহতা নিয়ে আলোচনা করেন। এবং কৃষি কাজের জমি দখলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। দূষণ কমিটির পক্ষ থেকে অনিল দাস, প্রফেসর তপন কুমার পাল, সাহিত্যিক সুনীল মাজি, দেবাশীষ দে উপস্থিত ছিলেন।