অরিন্দম চক্রবর্তী : ৩০শে জুন সোমবার সাত সকালে 'আমরা বামপন্থী' সংগঠনের নেতা অনিল দাস ওরফে ভীম দা-এর উপর খড়গপুরে আক্রমণ করা হয়েছে, জনসমক্ষে তাকে মারধর করা হয়েছে এবং খড়গপুরের শাসক দলের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেত্রী বেবী কোলে তার উপর আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ। খড়্গপুরের ইতিহাসে কলঙ্কিত ঘটনা। এরকম ঘটনা খড়্গপুর শহরে কখনো হয়নি।

ঘটনাটি কেন হয়েছে, দুর্গা সাহু এবং রাজীব সাহু খড়গপুরে ১০ নম্বর এলাকায় জ্যোতিষ সংঘ ক্লাবের পাশে পোল্ট্রি ফার্মের কাছে একটি ঘর ভাড়া নিতে থাকেন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেত্রী বেবী কোলে তার পাশেই থাকতেন। বেবী কোলে ভাড়াটিয়াকে নানাভাবে নির্যাতন করতেন, কখনও জল বন্ধ করে দিতেন, কখনও লাইন কেটে দিতেন, সীমানার দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন। ২৭শে জুন শুক্রবার দুর্গা সাহু এবং তার স্বামী টাউন থানায় একটি ডায়েরি করেন, বিস্তারিত অভিযোগ দেন। বিভিন্ন সময় তারা তাকে নানাভাবে গালিগালাজ করতেন এবং দুর্গার স্বামীর উপরও হাত তোলার চেষ্টা করেন। এই পরিস্থিতিতে ৩০শে জুন সোমবার সকাল ১১টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ঘটনার দিন সকাল ১০টায় অনিল দাস ওরফে ভীমদা খড়গপুরে কেনাকাটা থেকে ফিরছিলেন, তখন বেবী কোলে এবং তার সঙ্গীরা রাস্তায় জুতা ছুঁড়ে মেরে তাকে মারধর করে এবং নানাভাবে হয়রানি করে।

আমরা বামপন্থী আন্দোলনের কর্মীরা ও অনিল দাস খড়্গপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।তীব্র প্রতিবাদ জানালেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুজয় হাজরা ও প্রাক্তন বিধায়ক তথা MKDA এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার।প্রাক্তন বিধায়ক তথা MKDA এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার বলেন দলগতভাবে মতপার্থক্য থাকতেই পারে তাই বলে ওনার মতো একজন নেতার উপর এইরকম প্রকাশ্যে হামলা হবে ভাবা যায় না। এরকম আচরণ আমরাসমর্থন করবে না। এদিকে বেবি কোলের বলেন নানা সময় নানা রকম ভাবে অনিল দাস বিভিন্ন রকম টাকা নিয়েছে উনার কাছ থেকে।