নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের জাতীয় পতাকার পা-এ মাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি বিপ্লবী সংবাদ দর্পন মিডিয়া হাউস ৷ কিন্তু ফেসবুকে ব্যাপাকভাবে ভাইরাল সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন 'বাংলাদেশের জামাই' সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে অভিনেতা জিতু কমল, প্রযোজক রানা সরকার।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে বিশাল সংখ্যায় মানুষ এদেশে বিশেষত কলকাতায় আসে চিকিৎসা করাতে ৷ কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় থেকে তাঁরা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান ৷ প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের পাল্টা এবার বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল কলকাতার জেএন রায় হাসপাতাল ৷ প্রতিবেশী দেশের কোনও রোগীকে তারা ভর্তি করবে না, জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রধান ৷ কলকাতার মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতালের প্রধান শুভ্রাংশু ভক্ত বলেন, "যে দেশ স্বাধীন হয়েছে আমাদের দেশের সৈনিকদের রক্তে, যে দেশে আমাদের ভারতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়, সেই দেশের লোককে আমাদের দেশে নিয়ে এসে সুস্থ করে আবার ওদেশে পাঠাব ৷ সেখানে গিয়ে তো তারা আবারও আমাদের অবমাননা করে পদপিষ্ট করবে ৷ এদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একই কাজ করবে ৷ যদি কোনও রোগী বাংলাদেশ থেকে আসেন, মরণাপন্ন রোগী হলেও আমি তাঁকে ফিরিয়ে দেব ৷"
সম্প্রতি প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ তথা বন্ধ্যত্বরোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল সাহা সোশাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘বিইউইটি-র প্রবেশপথে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বিছিয়ে রাখা! চেম্বারে বাংলাদেশের রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রাখছি। আগে দেশ, পরে রোজগার। আশা রাখব দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া অবধি অন্যরাও তাই করবেন।’এর পর মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নেন।