নিজস্ব সংবাদদাতা : জুনিয়র চিকিৎসক ও মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক চলছিল। সেখানে ডাক্তাররা অভিযোগ জানিয়ে বলেন যে, কোনও একটা ঘটনা ঘটে গেলে অভিযোগ জানাবে কোথায়। সেই প্রেক্ষিতেই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনিও মেনে নেন,অনেক মেডিক্যাল কলেজেই এমএসভিপি ও অধ্যক্ষরা সঠিক দায়িত্ব পালন করে না। শুধু তাই নয়, তিনি এও বলেন, “কোনও কোনও অধ্যক্ষ রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করে। এ খবর আছে আমার কাছে।”চিকিৎসকদের সঙ্গে একমত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত কড়া হয়ে বলেন, “আমি নিরপেক্ষভাবে বলব যারা দায়িত্বে আছেন তাঁদের বলব চেয়ার চিরকাল এক থাকে না। একটা সরকারি কর্মচারি সারা জীবন এক জায়গায় চাকরি করে না। তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়।”এরপর অধ্যক্ষদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বলেন, “আপনারা ওপেন ডেস্ক করুন। একটা মেয়ে বিপদে পড়ে অভিযোগ করে কম্পপ্লেন জমা দেন আমাদের কাছে নিয়ে আসুন। একটা টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। মাসে মাসে মিটিং প্রয়োজন। কেউ কাউকে থ্রেট করবে না। এই কালচার থেকে বেরতে হব।”১৪ই অগস্টের পর কীভাবে একটা অপরাধমূলক প্রবণতা ক্যাম্পাসের ভিতরে কাজ করছিল। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের স্যর আসে। তদন্তমূলক কমিটি যে তৈরি হয়েছিল, রিপোর্ট যখন আসে, আন্দোলন করতে গিয়ে যন্ত্রণা দেখেছি। একটা কমিটি দিয়ে বা গ্রিভেন্স সেল দিয়ে এই যন্ত্রণা বলা যায় না। যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে, টাকা আদায়, চাঁদা আদায় সেই পরিবেশটুকুও কলেজ ক্যাম্পাসে ছিল না। একটা মেয়ের উপর যদি কোনও ঘটনা ঘটে, সে কোথায় গিয়ে বলবে? কেন আমরা এতগুলো কমিটি চাইছি, কেন প্রতিনিধিত্ব চাইছি সেটা পরিষ্কার হবে। আন্দোলন চলার পরও দেখুন ঔদ্ধত্য কোথায়? ম্যাডাম দেখবেন দ্বিতীয় অভয়া না হয়। আমরা যা চাইছি তাতে হাতি- ঘোড়া হবে না হযত ! অভিযোগকারীকেই বলছে তুমিই র্যাগিং করেছ।ন্যূনতম বিচারও পাইনি।