Skip to content

অস্বাভাবিক দেরীতে চলছে লোকাল ট্রেন, রেল রোকো সহ বৃহত্তর আন্দোলনের পথে রেলযাত্রীরা!

নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের খড়্গপুর ডিভিশনে প্রায় তিন বছর ধরে অস্বাভাবিক দেরীতে চলছে লোকাল ট্রেন। ফলস্বরূপ যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। একদিকে যেমন নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছাতে পারছে না অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে কলকারখানার হাজার হাজার শ্রমিকেরা। অন্যদিকে ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি ট্রেন লেটের কারনে পিছিয়ে দিতে হচ্ছে পরীক্ষার সময়। শুধু তাই নয়, ট্রেনের মাধ্যমে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল ফুল ও পান-কলকাতা,খড়গপুর হয়ে বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার সময় নির্দিষ্ট সময়ে তা পৌঁছাতে না পেরে ভীষণভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে ফুল ও পানচাষীরা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের যাত্রী ও পন্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এই চরম উদাসীনতার প্রতিবাদে অবশেষে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন বিক্ষোভের পর যৌথভাবে আন্দোলনের ডাক দিল সর্বস্তরের রেলযাত্রীরা। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা বিদ্যাসাগর স্মৃতি ভবনের রোকেয়া হলে এক গুরুত্বপূর্ন সভা থেকে গড়ে উঠেছে- জয়েন্ট ফোরাম অব প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন,খড়্গপুর ডিভিশন ,দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে। সভায় উপস্থিত ছিলেন হাওড়া-জকপুর রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন,নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চ,সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতি সহ রেলওয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মকর্তাগন। অরূপ রতন সাহা ও গৌতম সামন্তকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও মধুসূদন বেরাকে কোষাধক্ষ্য করে ১০ জনের একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হয়েছে। এছাড়াও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে জনমত সংগ্রহের জন্য সমীর সামন্তকে আহ্বায়ক করে ৫ জনের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

গত ২৪ জুলাই, ২০২৩, ভোগপুর রেল স্টেশনে ট্রেন লেটের প্রতিবাদে যাত্রীদের রেল অবরোধ

ওই জয়েন্ট ফোরামের কার্যকরী কমিটির সদস্য তথা সারা বাংলা ফুলচাষী ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, অস্বাভাবিকভাবে দেরিতে লোকাল ট্রেন চলার় পরিপ্রেক্ষিতে নিত্যযাত্রী সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই পরিপেক্ষিতে আমরা সবাইকে নিয়ে বাধ্য হয়েই যৌথ আন্দোলনে নামার কর্মসূচি গ্রহন করেছি। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জানান,শীঘ্রই যাত্রী সাধারণের নানা অসুবিধাগুলির কথা জানিয়ে রেলমন্ত্রী থেকে শুরু করে রেলের বিভিন্ন আধিকারিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন আধিকারিকদের চরমপত্র দেওয়া হবে। এতেও রেল দপ্তরের টনক না নড়লে রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হবে বলে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Latest