আড়াই বছর বয়সে কলেজ স্ট্রিটে, আর বিশদ ভাবে বললে একটি নার্সারি ইংলিশ মিডিয়ম স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম।মনে নেই কতদিন স্কুলে ছিলাম।একটা চৌবাচ্চায় অনেক রঙিন মাছ ছিল।আর একটা হলুদ রঙের খাতায় লেখা থাকত বা সুর করে বলতাম হাম্পটি ডাম্পটি।এখনও জানিনা শব্দগুলি কি!
একটা ক্ষতি হল বাংলার স্বরবর্ণ ইত্যাদি শেখার আগে শিখেছিলাম ইংরেজি অ্যালফেবেট।পরে ক্লাস ট্যু থেকে নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে ঘোল খেলাম,অকৃতকার্য হলাম।তখন বাংলা শেখা শুরু মায়ের হাত ধরেই।নীচু ক্লাসে বাংলা ভাষায় ষাণ্মাসিক পরীক্ষায় পেলাম ৯৬, ১০০ এর মধ্যে।এই ভাষা অর্থাৎ মাতৃভাষায় প্রচুর মার্কস পাওয়ার কারণে আমি ডব্লুউ বি সি এসে পার্সোনালিটি টেস্টের মুখোমুখি হয়েছিলাম।তারপর যা হওয়ার হল।লেখকও হলাম কিনা জানিনা কিন্তু মায়ের স্পর্শে বাংলা শেখা।মাতৃভাষায় আমার মা ছিলেন প্রথম শিক্ষিকা।
প্রণাম, শ্রদ্ধা খুব দূরের শব্দ। যখন পৃথিবীতে ঝরাপাতার মরশুম আসে, আমার মা মহাকালের যাবতীয় আয়োজন মিথ্যে করে সন্তানের কাছে আসেন।
বলেন, মনু আজ তোর জন্মদিন।মাতৃভাষা দিবস আজকে কিন্তু আমার সঙ্গে দেখা হয় প্রতিদিনই স্বপ্নে আর চৈত্রের সেই ভোরবেলাকার আলো- আঁধারিতে।এই সম্পর্ক কারুর সঙ্গে ভাগ করা যায় না কখনও।