Skip to content

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আজও স্বমহিমায় উজ্জ্বল ভাঙড়ের মজুমদার বাড়ির দুর্গোৎসব!

নিজস্ব সংবাদাতা: বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মেতে ওঠে সকল বাঙালি। তারই এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ ভাঙড়ের মজুমদার বাড়ির দুর্গোৎসব। ভাঙড়ের ওই গ্রামটির নাম স্বস্ত্যয়নগাছি। প্রায় ২০০ বছরের পুরনো শতাব্দীপ্রাচীন মজুমদার বাড়ির পুজোয় আগের মতো আড়ম্বর-জাঁকজমক আর দেখা না গেলেও। উৎসবের দিন গুলিতে এখানে হিন্দু ও মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের যে মেলবন্ধন ঘটে। পুজোতে যা অন্য মাত্রা এনে দেয়। ভাঙড়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বেশি হলেও। দুই সম্প্রদায়ের গ্রামবাসী এই পুজোকে ঘিরেই আনন্দে মেতে ওঠেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুজোর বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরাও। এমনকি বিশেষ আকর্ষণ এই এলাকায় অষ্টমীর দিন সবাই মিলে একসঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া। যার রীতি চলে আসছে বহুদিন ধরে। এই প্রসঙ্গে মজুমদার বাড়ির সদস্য তাপস মজুমদার জানান, ‘‘এবারেও স্বস্ত্যয়নগাছি মজুমদার বাড়ির দুর্গাপ্রতিমা গড়ছেন শিখরপুরের মৃৎশিল্পী ইন্দ্রজিৎ বিশ্বাস।’’ জন্মাষ্টমীতে কাঠামো পুজোর পর শুরু হয়েছে মূর্তি গড়ার কাজ। আগের মতো এই পুজো জাঁকজমক না থাকলেও এখানে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণ মুগ্ধ করে। এটাই এই পুজোর বৈশিষ্ট্য। গ্রামের হিন্দুরা যেমন এই পুজোয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তেমনই মুসলিমরাও বিভিন্ন কাজে হাত লাগান। এমনকী, নাটমন্দিরের সংস্কারের কাজও করেছেন এক মুসলিম যুবক।"

Latest