ঝাড়গ্রাম নিজস্ব সংবাদদাতা : মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে নেমে হেলিপ্যাডের সাইডে থাকা এলাকাবাসীর সাথে তিনি কথাবার্তা বলেন ওদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন।বুধবার ঝাড়গ্রাম শহরে পৌঁছনোর পরেই তাঁকে শুনতে হল লোধা-শবর বস্তিতে পানীয় জল নেই। নিজে দেখলেন পর্যটন শহর ঝাড়গ্রামের অপরিচ্ছন্নতা। তারপরে পুরপ্রতিনিধিদের (কাউন্সিলর) সঙ্গে বৈঠক করে সেই নিয়ে কার্যত তিরস্কার করলেন তাঁদের।
মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হেলিপ্যাডের এক পাশে জড়ো হয়েছিলেন লোধা-শবরেরা। বাঁশের ব্যারিকেডের অপরপ্রান্তে তাঁদের দেখে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তখন লোধা-শবর মহিলারা তাঁদের নানা সমস্যার কথা বলতে শুরু করেন। কেউ বলেন, শৌচাগার নেই। কেউ জানান বাড়ি না থাকার কথা। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রশ্ন করেন, ‘‘রেশন পাও না? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাও না?’’ তখন মহিলারা পানীয় জলের সমস্যার কথা জানান। জলের কল বসিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন এক লোধা মহিলা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা পুরসভা তো? একটা জলের কল বসিয়ে দিতে বলছি।’’ মুখ্যমন্ত্রী লোধা-শবরদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘লোধা বোর্ড তৈরি হয়েছে। আস্তে আস্তে সব হবে।’’ লোধা পাড়ার গীতা মল্লিক, সুভাষ মল্লিকরা বলেন, ‘‘জলের সমস্যা বহুদিনের। আমাদের শৌচাগারও নেই। অনেকের বাড়িও নেই। দিদিকে বলেছি।’’
আজ, বৃহস্পতিবারের ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামের প্রশাসনিক জনসভা থেকে জেলার জন্য প্রায় পাঁচশো কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রামে চলে আসেন তিনি। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। হাতির হানায় মৃতের পরিজনদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি পরিষেবাও তুলে দেবেন উপভোক্তাদের হাতে।’’
তবে এদিনের বৈঠকে লোধা শবর ও জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই জেলার এসপি ও জেলাশাসক সব সময় তাঁদের পাশে থাকেন। বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন।