Skip to content

মণিপাল হাসপাতাল রোসা রোবোটিক সহায়তায় হাঁটু সার্জারির উন্মোচন !

1 min read

নিজস্ব সংবাদদাতা : মণিপাল হসপিটাল،ভারতের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবায় নিজেদের অসাধারণ কৃতিত্বের আরো একবার স্বাক্ষরে রাখল তাদের কলকাতা ফেসিলিটিতে রোসা হাঁটুর সিস্টেম চালু করে। জিমার বায়োমেট এর তৈরি করা, এই অত্যাধুনিক রোবটিক সার্জিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিঃসন্দেহে হাঁটু বদলের সামগ্রিক পদ্ধতিতে অনেকটাই বড় সাফল্য আনতে চলেছে। অ্যাডভান্সড রোবটিক্স এর সাথে নতুন সফটওয়্যার, এই প্রযুক্তি সব মিলয়ে ফলাফলের ক্ষেত্রে এবং রোগীর দ্রুত সেরে ওঠার ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য আনতে চলেছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং আশপাশের জেলা থেকে অনেক রোগী বর্তমানে কলকাতায় আসেন যাতে তারা কম কাঁটা ছেঁড়ার এই হাঁটু বদলের অস্ত্রোপচারের সুযোগ পেতে পারেন। সারা বছর প্রায় ২০ লাখ ভারতীয়র হাঁটু বদলের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন পড়ে। তবে দেখা গিয়েছে যে মাত্র ২.৫ থেকে ৩ লাখ মানুষ এই অস্ত্রোপচার করান, যার মূল কারণ সামগ্রিক পদ্ধতি নিয়ে ভয়, ইমপ্ল্যান্ট কতদিন থাকবে সেই নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যতে আবার কোন অস্ত্রোপচার প্রয়োজন পড়বে কিনা, সেই নিয়ে আশঙ্কা। শেষ পাঁচ বছরে অবশ্য এই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হয়েছে। মোটামুটি আন্দাজ করা গিয়েছে যে অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ বয়স বয়সীদের, যা প্রায় ১৫ কোটির মত, সেখানে অনেক কারণে হাঁটুর পরিস্থিতি সঙ্গীন হতে থাকে। অতিরিক্ত ওজন, বেহিসেবী জীবন যাপন, আর্থরাইটিস বা অন্যান্য ফুলে যাওয়ার মতো দিক প্রধান কারণ হতে পারে। যদিও জনসংখ্যার একটি বড় অংশ এই হাঁটুর সমস্যায় জর্জরিত, তবে বেশিরভাগ রোগী হাঁটু বদলের অস্ত্রোপচার করাতে চান না। এর অন্যতম কারণ হল সার্জিক্যাল পদ্ধতি এবং অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সময়ে সব রকম পদ্ধতি নিয়ে মিথ। মণিলাল হসপিটালের রোস্টারে দিয়েছেন বিশেষ ভাবে পারদর্শী অর্থোপেডিক সার্জন, যারা রোসা হাঁটু বদলের পদ্ধতি নিয়ে পুরোদস্তুর সাহায্যের জায়গায় রয়েছেন। এই হসপিটালে ব্যবস্থা রয়েছে সার্বিক চিকিৎসার, যেখানে রোগীদের পরামর্শ দেওয়া থেকে অস্ত্রোপচার পরবর্তী রিহ্যাবের দিকটিও আছে। এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে মণিপাল হসপিটাল ২৫টি সফল হাঁটু বদলের অস্ত্রোপচার করেছে রোসা সার্জিক্যাল অর্থপেডিক রোবটের সাহায্যে।

Latest