পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : দুই বাংলার ‘মিলনস্থল’ মেদিনীপুর শহর। শুক্রবার ভোরে বাংলাদেশ থেকে মেদিনীপুরে এসে পৌঁছায় একটি বিশেষ ট্রেন। শিশু সহ প্রায় ২২৫৬ জন যাত্রীকে নিয়ে বুধবার বাংলাদেশের রাজবাড়ী থেকে স্পেশাল ট্রেনটি ছেড়েছে। ‘মওলা পার্ক' হজরত সৈয়দ শাহ মুর্শেদ আলি আল কাদেরির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে উরস পালিত হচ্ছে। হজরত মহম্মদের ৩২তম ও সুফি সাধনার আদিগুরু ‘বড় পীর সাহেব’ হজরত আব্দুল কাদের জিলানির ১৯তম বংশধর মওলা পাক ৪ ফাল্গুন প্রয়াত হন। ওই দিনটিতে দেশ-বিদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের গুরুকে স্মরণ করেন।উরস ঘিরে প্রতিবারই বহু মানুষের সমাগম হয় মেদিনীপুরে। শুধু মুসলিম সম্প্রদায় নয়, সব ধর্মের মানুষই বিশেষ এই দিনে জোড়া মসজিদে হাজির হন।এই উপলক্ষে সাত দিন ধরে চলে মেলা। বাংলাদেশ থেকে আসা তীর্থযাত্রীরা ফেরার সময় নানা সামগ্রী কিনে নিয়ে যান। অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র, মাদুর, মিষ্টি, জিরা সবই বিক্রি হয়। ক্ষীরের গজা, মিহিদানা হাঁড়ি ভর্তি করে নিয়ে যান বাংলাদেশিরা। উরসের সময়টাও ভাল ব্যবসা করে হোটেলগুলিও। এই দু'একদিন হোটেল ভাড়াও বাড়ে। মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খান বাংলাদেশের মানুষদের অভ্যর্থনা জানান ফুল দিয়ে। তীর্থযাত্রীদের জন্য জল ও টিফিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে তীর্থযাত্রীরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে অসুবিধে না হয় সেজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন সংগঠনগুলির তরফে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যের তরফে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আসার কথা রয়েছে।