Skip to content

মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার বিজয়া সম্মিলনী এবং গুণীজন ও কৃতি সংবর্ধনা!

1 min read

নিজস্ব সংবাদদাতা : মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা, মেদিনীপুর টাউন আঞ্চলিক ইউনিটের উদ্যোগে মেদিনীপুর কে ডি কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড জেনারেল স্টাডিজের সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হল "বিজয়া সম্মিলনী এবং গুণীজন ও কৃতি সংবর্ধনা-২০২৫"
গাছে জল সিঞ্চনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন ইউনিটের কার্যকরী সভাপতি ডঃ মিলন কুমার সরকার। বিজয়া দশমীর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন ইউনিটের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তথা মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ শ্রীমন্ত সাহা। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামাপদ জানা এবং কে ডি কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড জেনারেল স্টাডিজ এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডঃ দুলাল চন্দ্র দাস।

এদিন মেদিনীপুর টাউন আঞ্চলিক ইউনিটের পক্ষ থেকে যে তিনজনকে ""মেদিনী রত্ন"" সম্মাননার জন্য মনোনীত করা হয় তাঁরা হলেন "চন্দ্রযান-৩" এর সফল অবতরণের এক কাণ্ডারী অখণ্ড মেদিনীপুরের গর্ব তথা ঝাড়গ্ৰামের ভূমিপুত্র বিজ্ঞানী ডঃ শান্তনু ভৌমিক, সদ্য দুর্গম ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রমকারী মেদিনীপুর শহরের গর্ব আফরিন জাবি এবং শালবনীর আন্তর্জাতিক ব্যালান্স নৃত্য শিল্পী বিজলী মুর্মূ। প্রথমোক্ত দুইজন উপস্থিত হতে পারেননি। বিজলী মুর্মূকে উত্তরীয়,পুষ্পস্তবক, সংস্থার নিজস্ব প্রকাশনার তিনটি বই,মানপত্র-স্মারক সহযোগে সংবর্ধনা প্রদান করেন এবং "মেদিনী রত্নে" ভূষিত করেন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক মন্টু রাম জানা, সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, ইউনিট সভাপতি,ও দুই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। বিজলী মুর্মূর হাতে ইউনিটের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ইউনিট সম্পাদক তারাপদ বারিক ।

এদিন সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে "ক্ষুদিরাম ছাত্র বৃত্তি" প্রদান করা হয় মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০০ এর মধ্যে ৬৮০ পাওয়া ভূমিহীন প্রান্তিক দুঃস্থ কৃষক মা-বাবার সন্তান সৌম্যদীপ ঘোষকে। সৌম্যদীপকে সংস্থার পক্ষ থেকে চার হাজার টাকার চেক, ইউনিট ও কে ডি কলেজের যৌথ সম্পাদনায় প্রকাশিত " ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর ও তাঁর গ্ৰন্থ ভাবনা" শীর্ষক বই সহ সংস্থার নিজস্ব দুটি বই। পুষ্প স্তবক সহকারে বৃত্তি প্রদান করেন শিলদা চন্দ্রশেখর মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডঃ সুশান্ত কুমার দোলই, কেন্দ্রীয় কমিটির দুই যুগ্ম সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় খাটুয়া ও সুব্রত কুমার মাঝি। উচ্চ মাধ্যমিকে শহরের তিন স্থানাধিকারী ছাত্র সহ ইউনিটের সদস্য-সদস্যাদের বাড়ীর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক,জয়েন্ট, নীট প্রভৃতি প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদেরও সংবর্ধনা প্রদান করেন বিষ্ণুপুর রামানন্দ কলেজের অধ্যক্ষা অধ্যাপিকা ডঃ স্বপ্না ঘোড়াই, উপদেষ্টা মন্ডলীর তিন সদস্য ডাঃ বিমল কুমার গুড়িয়া, পরিমল মাহাত, অনাদি কুমার জানা,ভাদুতলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ডঃ অমিতেশ চৌধুরী, জাতীয় শিক্ষক ডঃ নির্মলেন্দু দে, ইউনিটের সাংস্কৃতিক উপসমিতির চেয়ারপার্সন ভরত কুমার রায়, দুই আহ্বায়ক অধ্যাপিকা ডঃ পলি ভট্টাচার্য্য বসু, দীপেশ কুমার দে, পুরসভার কাউন্সিলর তথা কার্যকরী সমিতির সদস্য ইন্দ্রজিৎ পাণিগ্ৰাহী প্রমুখ।এদিন সদস্য পদ গ্ৰহণকারী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ডিন অফ স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার তথা মেদিনীপুর শহরের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ আর এন মাইতি,বিশিষ্ট লেখিকা রোশেনারা খাঁন, অধ্যাপিকা শিখা চক্রবর্তী, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নারায়ণ প্রসাদ চৌধুরী, প্রাক্তন শিক্ষক ও মেদিনীপুর লায়ন্স ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি পিনাক চক্রবর্তী , বিশিষ্ট সমাজসেবী তুষার কান্তি খাঁন,শিক্ষক চন্দন মিশ্র প্রমুখকে সাধারণ সম্পাদক, ইউনিট সভাপতি ও সম্পাদক পুষ্পস্তবক দিয়ে তাঁদের কে সংস্থায় বরণ করে নেন। সেইসাথে অনুষ্ঠানে প্রস্তাব আসে গুণীজন সংবর্ধনা প্রাপক বিজলী মুর্মূ ষকে সংস্থার সাম্মানিক সদস্য পদ দেওয়ার জন্য। উপস্থিত সবাই সমর্থন করায় সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শ্রীমতি মুর্মূকে সংস্থার সাম্মানিক সদস্য পদ দেওয়ার ঘোষণা করেন।পাশাপাশি এদিন মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত মেদিনীপুর টাউন আঞ্চলিক ইউনিটের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সফল প্রতিযোগীদে হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার গুলি তুলে দেন চিড়িমারসাই রাধামাধব জীউ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুমা ঘোড়াই জানা, ইউনিটের সহ-সভাপতিত্রয় অমিতাভ দাস,সবিতা মান্না,শঙ্কর চন্দ্র সেন, সহ-সম্পাদকত্রয় দেবী প্রসাদ নন্দী, অতনু মিত্র, দেবজিত জানা, ইউনিট কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডঃ সুশান্ত দে,কার্যকরী সমিতির সদস্য সদস্যা ডাঃ অসীম কুমার মাইতি, অধ্যাপক ডঃ তরুণ কুমার বারিক, সৌনক সাহু, বিশ্বজিৎ সাহু, শ্রীমতী মণীষা ভট্টাচার্য, শ্রীমতী শিল্পাশ্রী ঘোষ, ইউনিটের বরিষ্ঠ সদস্য অধ্যাপক ডঃ অমল কুমার ভট্টাচার্য, পঙ্কজ কুমার পাত্র,মহীতোষ কুমার নাথ, শিশির কুমার ত্রিপাঠী,সাধুনাথ মাইতি, মনোরঞ্জন কারক, শ্রীমতী শাস্বতী দে প্রমুখ।এদিনের অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিজয়ী প্রতিযোগীরা অনুষ্ঠানে আবৃত্তি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। মাঝে ঝুমঝুমি চক্রবর্তী সংস্থার সদস্য প্রয়াত জলদ বরণ দাস মহাশয়ের সংস্থাকে নিয়ে লেখা সঙ্গীত পরিবেশন করেন, যা উপস্থিত সকলের কাছে প্রশংসিত হয়।ইউনিট সম্পাদক তারাপদ বারিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।ইউনিট সভানেত্রী প্রাক্তন বিচারক অঞ্জলী সিনহা সভাপতির বক্তব্য পেশ করেন এবং অদিতি মাসান্তের সমাপ্তি সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।

Latest