নিজস্ব সংবাদদাতা : শনিবার ১৮-ই জানুয়ারী মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের অফিসের বাইরেই রাত কাটালেন আন্দোলনরত মেদিনীপুর মেডিক্যালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। জুনিয়র চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে আন্দোলন চলবে বলেও জানানো হয়। উল্লেখ্য, শনিবার এই ৭ জনের সাসপেনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাব অধ্যক্ষের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সেই দিনে প্রথমে কর্তব্যরত ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক-সহ মোট ১২ জনকে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দপ্তর। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে ৬ পিজিটি পড়ুয়ার কাছে সাসপেনশনের চিঠি পৌঁছয়। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন কাণ্ডের পর একের পর এক চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার ঘটনা থামছেই না। গত শুক্রবার রাতে আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক, সুশান্ত মণ্ডল, যিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইন্টার্ন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এর ফলে স্যালাইন কাণ্ডে মোট সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে।এখন পর্যন্ত যে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, তার মধ্যে ৬ জন পিজিটি ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সুশান্ত মণ্ডলের সাসপেনশন অর্ডার পৌঁছানোর পর সেই সংখ্যাটি বেড়ে গেছে। পরবর্তীতে, ওই সময়ই আরও ৬ জন পিজিটি-র কাছেও সাসপেনশন অর্ডার পৌঁছায়। এই ঘটনায় চিকিৎসক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।