পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মেদিনীপুর পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নজরগঞ্জ এলাকায় সরকারি জমি ও হাই ড্রেনের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস তৈরির অভিযোগকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।অভিযোগের তির খোদ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় কয়েকজন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী এক দম্পতির বাড়ির একাংশ কার্যত বন্ধ করে দিয়ে জোর করেই ওই পার্টি অফিস তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্মাণের ফলে নিচে থাকা সরকারি ড্রেনও চাপা পড়ে গিয়েছে, যার ফলে ভবিষ্যতে নিকাশী সমস্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ।স্থানীয়দের অভিযোগ, পার্টি অফিস নির্মাণের সময় তারা একাধিকবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের চাপে কারও কথার তোয়াক্কা করা হয়নি। এই ঘটনায় শাসকদলের অন্দরেও তৈরি হয়েছে অস্বস্তি।

স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের প্রতিনিধি বরুণ বিকাশ দে প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, কাউন্সিলার থেকে শুরু করে ওয়ার্ড সভাপতি—কাউকেই না জানিয়ে এই পার্টি অফিস তৈরি করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, সরকারি জমি দখল করে এবং সাধারণ মানুষের বাড়ি ব্লক করে পার্টি অফিস তৈরির পক্ষে তিনি নন। পাশাপাশি, এই পার্টি অফিসকে কেন্দ্র করে এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যুৎ ঘোষ জানিয়েছেন, সরকারি জমি দখল করে কিংবা নিকাশী নালার ওপর পার্টি অফিস তৈরি করা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। কীভাবে এই নির্মাণ হয়েছে, তা দলের তরফে খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

অন্যদিকে, গোটা ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শংকর গুছাইতের। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সরকারি জমি ও নিকাশী নালা জবর দখল না করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু নজরগঞ্জের এই ঘটনা সেই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে কি না, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্রশাসন ও শাসকদল কবে ব্যবস্থা নেবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।