পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : বকেয়া করদাতাদের তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে মেদিনীপুর পৌরসভা। সেই তালিকা ধরে জোরকদমে কর আদায়ে নামতে চলেছে কর্তৃপক্ষ ৷ সোমবার ২৪শে নভেম্বর বকেয়া সম্পত্তি করের বোঝায় শহরকে সচল রাখতে নাগরিকদের দরজায় কড়া নাড়লেন মেদিনীপুর পৌরপ্রধান ও উপ পৌরপ্রধান।মেদিনীপুর শহরের বিপুল বকেয়া প্রোপার্টি ট্যাক্স। উন্নতি থেকে শহরের পরিচ্ছন্নতা—সব ক্ষেত্রেই আর্থিক সংকটের কারণে গতি কমে আসছিল শহরের।

নাগরিক পরিষেবার এই চাপ অনুভব করেই এবার রীতিমতো এক মানবিক ও প্রশাসনিক উদ্যোগ নিল মেদিনীপুর পৌরসভা।সোমবার সকাল থেকে পৌর প্রশাসনের শীর্ষকর্তারাই নেমে পড়লেন মাঠে।পৌরপ্রধান সৌমেন খান এবং উপ-পৌরপ্রধান মৌ রায় শহরের ২৫ টি ওয়ার্ডে দরজায়–দরজায় পৌঁছে কর আদায় অভিযানের সূচনা করলেন। শুধু কর আদায় নয়—বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি শহর বাসীকে সঠিক সময় পৌরসভার ট্যাক্স দেবার অনুরোধ জানিয়েছেন পৌর প্রধান। শহরবাসীর কাছে এই প্রথম এমন উদ্যোগ—যেখানে পৌরপ্রধান নিজের হাতে নথি তুলে দিচ্ছেন, মন খুলে কথা বলছেন, বোঝাচ্ছেন যে শহরের উন্নয়নের চাবিকাঠি নাগরিকদের হাতেই।

প্রথমদিন ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন পৌরকর্তারা। মেদিনীপুর পৌরসভার প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার প্রোপার্টি ট্যাক্স বকেয়া। এই বকেয়া আদায় না হলে শহরের উন্নয়ন কার্য একের পর এক থমকে যাবে। এই বিপুল বকেয়ার প্রভাব আর্থিক সংকট কর্মীদের বেতন–পেনশন প্রদানে চাপ প্রতিটি শিরায় শিরায় পৌঁছে গেছে আর্থিক ঘাটতির আঁচ। পৌরসভায় যত দ্রুত শহরবাসী বকেয়া কর জমা করবে, মেদিনীপুর পৌরসভা এই আর্থিক সংকট থেকে কিছুটা হলে স্বস্তি পাবে। পৌরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া মেদিনীপুর পৌরসভার উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়া অসম্ভব।