পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরে কয়েকদিন ধরেই রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুরবাড়ি আশ্রমকে ঘিরে শিরোনামে উঠে এসেছে।এলাকার মানুষ থেকে মেয়ের মায়ের অভিযোগ এই আশ্রমে অসামাজিক কুকর্মের কাজ চলছে।এছাড়া অভিযোগ উড়ছে এই আশ্রমের যিনি স্বামীজি রয়েছেন তিনি ভন্ড এবং কুকর্মের নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এই ঘটনায় নতুন করে তত্ত্ব উঠে এসেছে। এই আশ্রমের আসল মালিকন দেবযানি সাহারা (নায়ক) এর ছেলে এই আশ্রম নিয়ে এবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন অম্লান নায়েক। রামকৃষ্ণ আশ্রম ঠাকুর বাড়ি এটা আসলে তার নিজের বাড়ি।

এক সময় বাবা না থাকায় মাকে নিয়ে ১৫ বছরের ছেলে অম্লান দিন কাটাতো মায়ের আদর যত্নে সঙ্গে বড় হচ্ছিল। কিন্তু এর মধ্যে বিষ ভরে দিল মা ছেলের মধ্যে বর্তমানে মহারাজ জয়ানন্দ তার আসল পরিচয় নাম জয়ন্ত সাঁপুই। অম্লানের অভিযোগ মত এই মহারাজ আগে সাধু ছিলেন না। মা বলেছিলেন এক অধ্যাপক ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার জন্য বাড়িতে ভাড়া হিসেবে থাকবে। প্রথমে প্রতিবাদ করলেও পরে মায়ের কথায় রাখতে চাইলেন অম্লান। কিছুদিন পরেই ভন্ড সাধুর আসল রূপ উঠে আসে। অম্লানের বক্তব্য মা দিনের পর দিন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছিল। যে মা ছেলের মুখে অন্ন তুলে না দিয়ে নিজে খেত না তার মুখের হাসির জন্য সবকিছু করতো। আর সেই মা ভন্ড সাধুর জন্য নিজের ছেলেকে ভুলে গিয়েছে। ছেলেকে নিচে ফেলে রান্নাবান্না করে উপরে চলে যেত সেই ভন্ড সাধুর সঙ্গে তৃপ্তি করে খেতে। অম্লান কে একাই পড়ে থাকতে হতো, একবার বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে তালা ভাঙার অপরাধে তার মা এবং ওই সাধু তাকে পুলিশের হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় যা রীতিমতো ওই ছোট্ট অম্লান ভেঙে পড়েছিল।

তাতেও তাদের মন ভরেনি তাকে বাড়িছাড়া করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। এবং আরো জানান এই আশ্রমে একাধিক নোংরা কুকীর্তি করতে পারছিল না তারা আমার উপস্থিতিতে। রাগ অভিমান বুকে যন্ত্রণা খুব দুঃখ থাকলেও মাকে এখনো ভুলতে পারেনি অম্লান। আমার মা আমার খুব ভালোবাসত যত্ন করত আমাকে চোখের আড়ালে হতে দিত না। কিন্তু মা এক ভন্ড সাধুর পাল্লায় পড়ে এই রাস্তায় গিয়েছে। মা স্বাভাবিক সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানালো ছেলে অম্লান।