নিজস্ব সংবাদদাতা : "যদিও জানি দুঃসহ এ রাত্রি, সূর্য আনতে আমরা ক'জন যাত্রী" এই ভাবনাকে সামনে রেখে দুঃসহ রাত্রি কাটিয়ে নতুন ভোরের সূর্য আনার লক্ষ্যে মেদিনীপুর শহরের প্রদ্যোৎ স্মৃতিসদনে অনুষ্ঠিত হলো নৃত্যশিল্পী রিমা কর্মকারের নৃত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নৃত্যনীড়ের ত্রয়োদশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 'পদধ্বনি-২০২৫' ও রঙ পলাশের ছোঁয়া।প্রতি বছরের মতো এ বছরেও নৃত্যনীড়ের শিক্ষার্থীদের টানা প্রায় চার ঘন্টা যাবৎ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকলেন মেদিনীপুরের সংস্কৃতি প্রেমী জনতা।'পদধ্বনি' অনুষ্ঠানে এ বছরের বিষয় ছিল নারী শক্তি। নৃত্যনীড়ের কর্ণধার রিমা কর্মকার তাঁর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাত দিয়ে ১৩ টি পদ্মফুল জলে ভাসিয়ে প্রতিষ্ঠানের ত্রয়োদশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

এবছর পদধ্বনি সম্মানে সম্মানিত করা হয় মেদিনীপুর শহরের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী জয়ন্ত সাহাকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহরের বিভিন্ন অংশের বিশিষ্ট গুনীজনরা।উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব প্রণব চক্রবর্তী, কবি নির্মাল্য মুখোপাধ্যায়, সমাজকর্মী তাপস সিনহা, সঙ্গীত শিল্পী যতন সরকার, সমাজকর্মী লেখিকা রোশেনারা খান, বাচিক শিল্পী অমিয় পাল, মালবিকা পাল,কবি সিদ্ধার্থ সাঁতরা, নৃত্যশিল্পী রাজনারায়ণ দত্ত,শ্রাবনী, ঈশিতা চট্টোপাধ্যায়, শতাব্দী গোস্বামী, দত্ত,অভিনেতা সুশান্ত ঘোষ, চিত্রশিল্পী নরসিংহ দাশ, সমাজকর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া,মণিকাঞ্চন রায়, সংস্কৃতি প্রেমী জয়ন্ত মন্ডল,আলোচিত্রী গৌতম দেব,প্রদীপ বসু,নিশীথ দাস, সমাজকর্মী সুমন চ্যাটার্জী, সাইকেলিস্ট নবনীতা মিশ্র সহ মেদিনীপুরের সাংস্কৃতিক জগতের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে প্ৰখ্যাত গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর ১০ টি গানের সাথে নাচের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের কচিকাঁচারা। অনুষ্ঠানটি সুচারু ভাবে পরিচালনা করেন অর্ণব বেরা।সমগ্র অনুষ্ঠান টিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে হাতে তৈরী করা শৈল্পিক দ্রব্য, যেমন হাতে তৈরী পেপার ওয়েট, হাতে তৈরী রবীন্দ্র মূর্তি, মানপত্র ইত্যাদি অতিথিদের হাতে তুলে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নৃত্যনীড় কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য দের সহযোগিতায় সমগ্র অনুষ্ঠানের থিম ও মঞ্চসজ্জা প্রস্তুত করেন শশাঙ্ক পাল, সুমন্ত সাহা, বিশ্বজিৎ ঘোষ ও রিমা কর্মকার। ১৪ টি পদ্মফুল ভাসিয়ে আগামী বছরের অনুষ্ঠানের সূচনার বীজ বুনে অনুষ্ঠান শেষ করেন কর্ণাধার রিমা কর্মকার।
