পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : মেদিনীপুর শহরের শান্ত, সবুজ ছায়া যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নজরগঞ্জ এলাকায় ফের গাছ কাটার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একাধিক সবুজ গাছ বেআইনি ভাবে কেটে ফেলা হয়েছে, আর এই ঘটনার পেছনে রয়েছেন স্থানীয় শাসক দলের কাউন্সিলারের স্বামী।যেখানে একসময় ঘন ছায়া দিত বড় বড় গাছ, সেখানে এখন পড়ে আছে কাটা গাছের গুড়ি আর ডালপালা। প্রকৃতি প্রেমীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এই ঘটনার নিন্দায় সরব।“গরমের দিনে যেখানে গাছের তলায় একটু ছায়া পেত,এখন সেখানে শুধু গাছের গুঁড়ি পড়ে আছে।

ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনদপ্তরের আধিকারিক মলয় কুমার নন্দী। তিনি জানান, কাটা গাছগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং আইনি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গাছ কাটা মানে শুধু আইন ভাঙা নয়, এটা প্রকৃতির বিরুদ্ধে অপরাধ।বিশেষজ্ঞদের মতে,গাছ কাটা মানে বাতাসে দূষণ বাড়ানো, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, আর মাটির জলধারণ ক্ষমতা নষ্ট করা অর্থাৎ একেকটি গাছ হারানো মানে শহরের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলা।

তবে প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে—যদি স্ত্রী কাউন্সিলার হন, তাহলে কি স্বামী আইনের ঊর্ধ্বে? আইন কি কেবল সাধারণ মানুষের জন্যই প্রযোজ্য, আর ক্ষমতাসীনদের জন্য নয়? আইনে স্পষ্টভাবে জানায়, গাছ কাটা বা পরিবেশ ধ্বংসের যেকোনো কাজই বন আইনের আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ।‘West Bengal Trees (Protection and Conservation in Non-Forest Areas) Act, 2006’ অনুযায়ী, বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা গেলে তার বিরুদ্ধে জরিমানা থেকে শুরু করে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।