পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : চৈত্র মাস পড়তে না পড়তেই তীব্র গরমে ভোগান্তি শুরু শহরবাসী। তাতেই মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় সাবমারসিবল পাম্পের জল থেকে জন্ডিসে আক্রান্ত ২৪ জন ওয়ার্ডবাসী।মেদিনীপুর শহরের ২০ নম্বর ২১ নম্বর ও ২২ নম্বর পৌরওয়ার্ড মিলিয়ে জন্ডিস আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন, সেই সঙ্গে নতুন করে পেট ব্যথা বমি নিয়ে ভর্তি হয়েছে ১০ জন। তাহলে সংখ্যাটা ৩৪ জন দাঁড়িয়েছে। মেদিনীপুর পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড ভুক্ত সুকান্ত পল্লী এলাকায় যেখানে প্রায় কয়েকশো মানুষ বসবাস করে। কত সপ্তাহ খানেক ধরেই এলাকায় শিশু থেকে বড়, যুবতী থেকে কিশোর পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছে হাসপাতাল ও বেসরকারি নার্সিংহোম। ইতিমধ্যে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে প্রায় ২৪ জন পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় তারা প্রত্যেকেই হেপাটাইটিস-এ সংক্রমিত জন্ডিস আক্রান্ত। এরই সঙ্গে নতুন করে পেটের ব্যথা বমি ভাব নিয়ে ভর্তি হয়েছে আরো ১০ জনের মতো ।এই নিয়ে বৃহস্পতিবার তড়িঘড়ি মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে মেডিক্যাল টিম বসানো হলো এলাকায়। বাড়ি বাড়ি সচেতন ও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এলাকার মানুষের অভিযোগ নতুন করে বসানো সাবমারসিবল জলের দিকে। যখন থেকে এই সাবমারসিবল জল ব্যবহার করা হচ্ছে তার ফলে আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে বলেই অভিযোগ এলাকা বাসীদের। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, "এই এলাকায় জন্ডিসের লক্ষণ ধরা পড়েছে - খিদে কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, মূত্র হলুদ হয়ে যাওয়া, চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া দেখা গিয়েছে। ১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে হেপাটাইটিস-এ ধরা পড়েছে। জল পরীক্ষা করেও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ পাওয়া গেছে।" এলাকাবাসী কি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শে ও দেন।মেদিনীপুর পৌরসভা পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, "এলাকায় কিছুটা সচেতনতার অভাব রয়েছে। কাউন্সিলার অনেক কাজ করেছেন, তবে সাবমার্সিবল জল থেকে এই ঘটনা ঘটেছে।প্রশাসনের তরফে ওই সাবমারসিবল পাম্পটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। বিকল্প হিসেবে পৌরসভার তরফে এলাকায় পানীয় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি কুড়ি লিটারের জলের ড্রাম পৌঁছানো হয়েছে।প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান, সম্প্রতি ওই এলাকায় একটি নতুন রাস্তা তৈরির সময় পাইপলাইন ফেটে যায়, যার ফলে নর্দমার জল পাইপলাইনে মিশে এই বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। তাই আপাতত পুরো এলাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।এলাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধ বিতরণ এবং ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর কাজ চলছে। পৌরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতর আশ্বাস দিয়েছে যে, দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হবে এবং আক্রান্তদের সুস্থ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।খবর করতে গেলেই তৃণমূল নেতাদের চক্ষুশুল সংবাদ মাধ্যমদেরকে ।এলাকাবাসীর অভিযোগ শুনতে গিয়ে ২২ নম্বর তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠর কটুক্তির মুখে সংবাদ মাধ্যম।
