Skip to content

সায়েন্স সেন্টার মেদিনীপুরের উদ্যোগে তিন দিনের গ্রীষ্মকালীন বিজ্ঞান কর্মশালা!

পশ্চিম মেদিনীপুর নিজস্ব সংবাদদাতা : হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদান ও ছাত্র-ছাত্রীদের আরও বেশি করে বিজ্ঞানমুখী করে তোলার লক্ষ্যে সোমবার সায়েন্স সেন্টার মেদিনীপুর-এর উদ্যোগে মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের রবীন্দ্র নীড় সভাগৃহে শুরু হলো তিনদিনের বিজ্ঞান কর্মশালা। এই কর্মশালায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ১০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী, জি আই এস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. বিমলচন্দ্র মাল, সংস্থার সভাপতি,মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. গোপালচন্দ্র বেরা, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষা ড. জয়শ্রী লাহা, মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. সুভাষচন্দ্র সামন্ত, সংস্থার সহ সভাপতি অধ্যাপক ডঃ মাখনলাল নন্দগোস্বামী প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিন কর্মসূচির অংশ হিসেবে'মিট দ্য সায়েন্টিস্ট' অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তাঁর সাম্প্রতিক গবেষণা নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সামনে আলোচনা করে খড়্গপুর আই আই টির স্কুল অফ এনার্জি সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.অমিত ঘোষ।একই ধরনের কর্মসূচিতে আগামী দুদিন উপস্থিত থাকবেন আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. নিরুপম রায় । কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটিক্স বিষয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে কাজ করানোর জন্য সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডঃ বিশ্বপতি জানা ও ব্যবর্তহাট আদর্শ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক আদিত্য ভট্টাচার্য । তিনদিনের এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দক্ষ শিক্ষক মহাশয়দের তত্ত্বাবধানে উতসাহের সাথে হাতে কলমে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীবন বিজ্ঞানের পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পাদন করবে।শেষদিন  কলেজের বায়োডাইভারসিটি পার্ক, গনিতের গ্যালারি, কম্পিউটার ল্যাবরেটরি ও প্রানী বিদ্যার ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সুযোগ করে দেবেন নির্দিষ্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা। সংস্থার সম্পাদক, মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুচাঁদ কুমার পান বলেন "১৯৮৭ সাল থেকে সায়েন্স সেন্টার বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান-মানসিকতার প্রসারে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে তবে আমাদের এই কর্মশালার লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করা ও তাদের অনুসন্ধানী মনকে সঠিক দিশা দেওয়া, আশাকরি এই কর্মশালা শিক্ষার্থীদের গবেষণা ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শন করবে।" কর্মশালায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড.জয়শ্রী লাহা শিক্ষার্থীদের সাথে পরিবেশ ও আমাদের সামাজিক দ্বায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।সায়েন্স সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানায় তাঁদের এই কর্মশালার উদ্যেশ্য সফল করতে পারলে তাঁরা তৃপ্ত হবেন। বিগত বছরের কর্মশালার অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা লক্ষ্য করছেন শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেখে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতি বছর গরমের ছুটিতে বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই কর্মশালা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

Latest