পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : বহুমূল্য মিয়াজাকি, ব্ল্যাকস্টোন থেকে নাগালের মধ্যে আম্রপালি, হিমসাগর;জেলা থেকে বিভিন্ন জায়গার একাধিক প্রজাতির আম সাজিয়ে মেদিনীপুরে এই প্রথম জমজমাট আম উৎসব।৩০ টাকা প্রতি কেজি থেকে ৩ লক্ষ টাকা প্রতি কেজি এই আম উৎসবে পাওয়া যাচ্ছে।রকমারি প্রজাতির আমের সম্ভার নিয়ে হাজির চাষিরা।খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যান পালন দপ্তরের উদ্যোগে এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিকেলে শহরের শহীদ প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে উদ্বোধিত হলো 'পশ্চিম মেদিনীপুর আম উৎসব'-এর। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুজয় হাজরা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। দু'দিন ব্যাপী এই আম উৎসব চলবে মঙ্গলবার ও বুধবার।

এই আম উৎসবে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা ছাড়াও এই আম উৎসবে আমের পসরা নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন ঝাড়গ্রাম,বাঁকুড়া, মালদা সহ বিভিন্ন জেলার আম চাষিরা।এই আম উৎসব' আলো করে একদিকে যেমন হাজির হয়েছে জাপানি মিয়াজাকি, থাইল্যান্ডের ব্ল্যাকস্টোন, থাই ফোর কে, রেড আইভরি, গোল্ডেন কুইনের মতো বহুমূল্য নানা বিদেশি আম; ঠিক তেমনই আছে আম্রপালি, হিমসাগরের মতো চিরাচরিত আমও। আছে বানানা ম্যাঙ্গো,কাটিমন, কিংস্টোন প্রাইডের মতো বিরল প্রজাতির আমও।বাঁকুড়ার গঙ্গাজল ঘাটি থেকে আসা আম চাষি বলেন, "আমাদের বাগানে প্রায় ৪৪ রকমের আম ফলেছে। সবথেকে দামি আম মিয়াজাকি এবং ব্ল্যাকস্টোন। মিয়াজাকি প্রতি পিসের দাম ১০ হাজার টাকা এবং ব্ল্যাকস্টোন প্রতি পিসের দাম ৫ হাজার টাকা।এই দুই প্রজাতির আমের দাম প্রতি কেজি হিসেবে ধরলে ২-৩ লক্ষ টাকা পেরিয়ে যাবে। এছাড়াও, থাইল্যান্ড ফোর কে- এক পিস আমের ওজনই চার কেজি! সেটাও এই আম উৎসবে নিয়ে এসেছি।"জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক স্বপন শীট বলেন,মেদিনীপুরে এবারই মেদিনীপুর শহরে এই প্রথম আম উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ১২টি স্টল আছে। বেশিরভাগ চাষি পশ্চিম মেদিনীপুরের হলেও অন্যান্য জেলা থেকেও চাষিরা এসেছেন। মূলত আম উৎপাদনের প্রতি চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং নানা ধরণের আমের স্বাদ মানুষের মুখে পৌঁছে দিতে এই আম উৎসবের আয়োজন।১২টি স্টল আছে। বেশিরভাগ চাষি পশ্চিম মেদিনীপুরের হলেও অন্যান্য জেলা থেকেও চাষিরা এসেছেন।" মূলত আম উৎপাদনের প্রতি চাষীদের উদ্বুদ্ধ করতে এবং নানা ধরণের আমের স্বাদ মানুষের মুখে পৌঁছে দিতে এই আম উৎসবের আয়োজন।