Skip to content

অবশেষে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গ্রেফতারির ৭ বছর ভুল পরিচয়ে কারাবাস কাটার পর নিজের স্বামী-সংসার খুঁজে পেলেন নলিনী চৌধুরী!

1 min read

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : সাত বছর আগে সিমানা পেরিয়ে প্রবেশ করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের পালামু জেলার চেইনপুর থানার কর্মাহা গ্রামের বাসিন্দা নলিনী এ রাজ্যে অজ্ঞাতসারেই ঢুকে পড়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা বিমান ঘাঁটির হাই এলার্ট জনে ডুবে পড়ার অপরাধে খড়গপুর থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন।- IPC 447, IPC 7. প্রভৃতি ধারা মামলা রুজু করা হয়। তবে এক বছর পরে আদালতের নির্দেশে জামিনও পেয়েছিলেন। পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করার সময় উল্লেখ করেছিল সে উত্তর প্রদেশের‌। আসলে তার বাড়ি ঝাড়খন্ডের পালামু জেলার। কিন্তু ঠিকানা ভুল কারণে ৬'বছর সংশোধনাগারেই থাকতে হয় তাঁকে। অবশেষে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে গ্রেফতারির ৭ বছর পর নিজের স্বামী-সংসার খুঁজে পেলেন নলিনী চৌধুরী নামে ওই মহিলা।

২০১৭ সালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় পরিবারের দাবি, ।মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সেই সময় স্থানীয় থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি লিখিয়েছিলেন নলিনীর স্বামী লালজি চৌধরি। কিন্তু বছরের পর বছর স্ত্রীর কোনও খোঁজই পাননি। বার বার থানায় গিয়ে খবর নিয়েছেন, কিন্তু সন্ধান পাননি তবে আশা ছাড়েনি স্ত্রীর নলিনীর। দিন কয়েক আগেই তিনি জানতে পারেন, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিব শহিদ পারভেজ এর মাধ্যমে তাঁর স্ত্রী রয়েছেন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনগারে। তাই স্ত্রীকে নিতে স্বামী লালজি চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাত্রে এসে পৌঁছায় মেদিনীপুর শহরে পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার সমস্ত কাগজপত্র আদালতে জমা দেন অবশেষে শুক্রবার রাত্রে মেদিনীপুর মহিলা সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্তি হয়ে পরিবারের সঙ্গে নিজের দেশে ফিরে গেলেন। নলিনীর মেয়ে ববিতা দেবী বলেন মাকে প্রাইস সাত বছর পর দেখতে পেয়ে কিছু বলার আর নেই ,তবে এত দিন পর বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি মাকে, এতে আমরা সকলেই খুশি।

Latest