পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : কেশপুরে আক্রান্ত আহত বিজেপির মন্ডল সভাপতি শুভেন্দু সামন্তকে দেখতে আজ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় । বৃহস্পতিবার আহত শুভেন্দু সামন্তকে তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং আইনি লড়াইয়ের কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরন বলেন,আমাদের কর্মীকে ভেবেচিন্তে দিনের আলোতে খুন করার চক্রান্ত ও পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূল।আমাদের দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষকে খুনের টার্গেট করা হয়েছিল। তন্ময় ঘোষ ওই রাস্তা দিয়ে চলে যাওয়ার পরেই তন্ময় ঘোষকে না পেয়ে আমাদের মন্ডল সভাপতি শুভেন্দু সামন্তকে পেয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয। এই পুরো পরিকল্পনাটা আমাদের যিনি তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা প্রাক্তন সাংসদ দীপক অধিকারীর। তিনি বলেছিলেন ১০ তারিখ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে কেশপুরে একটা খুন হবে, তার মানে এই যে খুনের পরিকল্পনা সেটা তিনি জানতেন। এটা নিয়ে এর আগে আমরা থানায় এফআইআর করেছিলাম আমরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন ফাইল করেছি। এখন আমরা চাইবো পুলিশ কখন ওনাকে এরেস্ট করবে। এখানে বিজেপির কেউ ছিল না এখানে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী মেরেছে এবং সেটা ওনার নির্দেশেই মেরেছে। উনি বুঝে গেছেন পায়ের তলার জমি সরে গেছে আর ভোটের মাত্র ৭ দিন বাকি। তিনি বুঝে গেছেন দুই থেকে তিন লাখ ভোটে হারবেন। সেই ওনার পুরনো ছক ২০১৪ এবং ২০১৯ রক্তাক্ত কেশপুরে উনি নির্বাচন করেছিলেন। এটেম্পড টু মার্ডার এই কেসে আমরা এফআইআর করেছি এবং এই কেস নিয়ে আমরা হাইকোর্টে যাব। ইমিডিয়েটলি অ্যারেস্ট করতে হবে যারা মারধর করেছে এবং সেই সঙ্গে দীপক অধিকারীকেও এরেস্ট করতে হবে। কারণ উনি জানতেন পুরো ঘটনাটা। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সম্পূর্ন অস্বীকার করে জানিয়েছে এইসব নাটক করে কেশপুরে বিজেপি কোন ভাবেই জায়গা পাবে না সেটা বিজেপি নেতৃত্বরা ভালো করেই জানে।