Skip to content

মেদিনীপুর শহরে ৪০০ বছরের প্রাচীন কাঁথ কালী মাতার পুজো ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে!

1 min read

পশ্চিম মেদিনীপুর সেখ ওয়ারেশ আলী : স্বপ্নাদেশের নির্দেশে মা কালীর খোঁজে মেদিনীপুরে এসেছিলেন এক ভক্ত। বহু খোঁজাখুঁজির পর তিনি যখন মীরবাজারের এক ভগ্ন দেওয়াল খুঁড়লেন, তখনই মাটির নিচ থেকে প্রকাশ পেল দেবীর স্বস্তিক চিহ্ন ও খড়্গ। সেই অলৌকিক মুহূর্ত থেকেই শুরু হয় মেদিনীপুরের কাঁথ কালী মাতার জাগ্রত অধ্যায়। প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাব্দী আগে গড়ে ওঠে এই মন্দির। আজও সেই প্রাচীন দেওয়ালই মায়ের আসন।

বহু চেষ্টা করেও কেউ দেওয়াল থেকে মূর্তিকে সরাতে পারেননি— যেন মা নিজেই নিজের জায়গা রক্ষা করে চলেছেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মায়ের আশীর্বাদ এতটাই শক্তিশালী যে মায়ের তাঁর আসন নাড়াতে চেয়েছেন, তাঁদের জীবনে বাধা এসেছে। একবার এক ব্যক্তি দেওয়াল থেকে মূর্তি সরানোর কথা বলেছিলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মন্দির কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শান্তনু মুখার্জী জানান, এই মন্দিরের মায়া ও শক্তি অবর্ণনীয়। এখানে মা সত্যিই জাগ্রত। অনেক সময় দেওয়ালের গায়ে খরিস সাপ দেখা যায়, কিন্তু কারো কোনো ক্ষতি করেনি। জনশ্রুতি রয়েছে,দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুন গোলা গ্রামের নন্দগোপাল মুখোপাধ্যায় একসময় স্বপ্নাদেশ পান। তাঁর অসুস্থ সন্তানের আরোগ্যের জন্য দেবী তাঁকে স্বপ্নে নির্দেশ দেন“মেদিনীপুরের মীরবাজারে দক্ষিণাকালী রয়েছেন।” সেই নির্দেশ মেনেই তিনি এখানে এসে মায়ের অলৌকিক প্রকাশ দেখেন। তাঁর হাত ধরেই গড়ে ওঠে মীরবাজারের এই কাঁথ কালী মন্দির। পরবর্তী সময়ে ডাকাতেরাও এই মায়ের পুজো দিতেন, আশ্রয় ও রক্ষার আশায়। এখনও মেদিনীপুর শহরের ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ একত্রে পালন করেন এই পুজো। তান্ত্রিক মতে পুজো, বলি প্রথা ও ভোগ প্রসাদে মুখর থাকে এলাকায়। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন এই “জাগ্রত কাঁথ কালী মাতার”দর্শনে।অলৌকিক ইতিহাস ও রহস্যে মোড়া দেওয়াল, আর ভক্তদের অগাধ বিশ্বাস সব মিলিয়ে আজও মেদিনীপুরের মীরবাজারে কাঁথ কালী মাতার মন্দির যেন এক জীবন্ত শক্তির প্রতীক, যেখানে বিশ্বাসই সত্য আর মা নিজেই উপস্থিত।

Latest